অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

অঙ্গীকারনামা মূলত বিভিন্ন ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যক্তি কেন্দ্রিক লেনদেন র আগে বা কোন প্রজেক্ট ঠিকাদারি কাজকর্মের আগে বিভিন্ন সময় আমরা অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করে থাকি। এই অঙ্গীকারনামার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যবসা-বাণিজ্য বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক ঋণ লেনদেনের সময় যাতে উভয়পক্ষ একজনের কাছে আর একজন দায়বদ্ধতা থাকে। একজনের সাথে অন্যজনের এই বাধ্যবাধকতা তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের লেনদেনের সম্পর্ক ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে অঙ্গীকারনামা করা হয়।
ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চুক্তিপত্র হলে সেই চুক্তিপত্র মুখোমুখি না হয়ে বরং অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে হয়ে থাকে। অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র ভবিষ্যতের গ্যারান্টি। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে এই অঙ্গীকারনামা কোন কাজ বা কোন উদ্দেশ্যে করা হয় তা সঠিকভাবে সম্পূর্ণ না হলে আমরা আইনি আশ্রয় নিতে পারি। এই অঙ্গীকারনামা সাধারণত বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মূল্যের স্ট্যাম্পে করা হয়।
সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই অনুচ্ছেদে আপনাদের কিভাবে অঙ্গীকারনামা লিখবেন বা অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম, চাকরি ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা স্কুলে অঙ্গীকারনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারনামার লেখার নিয়ম, বা কিভাবে আপনি একটি আদর্শ অঙ্গীকারনামা লিখবেন তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই অনুচ্ছেদে শেয়ার করা হয়েছে।
অঙ্গীকারনামা কি
দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মিলে নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে সম্মিলিত মতামত অনুযায়ী আর্থিক চুক্তি বা ভবিষ্যতের কোন প্রতিষ্ঠান বা লেনদেনের সম্পূর্ণ শেয়ার নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে একমত হয়ে নির্ধারিত কাগজে লিপিবদ্ধ করে তাদের চুক্তিবদ্ধতা সম্পূর্ণ হয় তাকে অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র বলে। এই অঙ্গীকারনামায় এক ব্যক্তির সাথে অন্য ব্যক্তির আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বা একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চাকরির জন্য নির্দিষ্ট প্রযোজ্য কিছু শর্ত বা চুক্তি বা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অনুযায়ী অঙ্গীকারনামা লেখা হয়।
কখন অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করা হয়
আপনি কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তির সাথে নির্দিষ্ট কোন চুক্তিবদ্ধতার মধ্য দিয়ে আর্থিক লেনদেন বা কোন পরিকল্পনায় কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। হয়তো কখনো আপনার এই পরিকল্পনায় অধিক শেয়ার বা মূলধন ব্যবহার করেন। তাই আপনার নির্দিষ্ট গ্যারান্টি জন্য আপনাকে অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করতে হবে। আপনার মুখোমুখি চুক্তির কোন ভবিষ্যৎ থাকেনা। আপনার মুখের কথায় কখনো আপনি আইনি আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন না। যদি আপনি আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামায় চুক্তিবদ্ধতা সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি এই অঙ্গীকারনামা দিয়ে আইনে আশ্রয় নিয়ে আপনার সমাধান পেয়ে যাবেন।
সঙ্গীতের নামা মূলত ব্যবসার আগে ব্যক্তি কেন্দ্রিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভিন্নর আগে অথবা ঠিকাদারি কাজে কন্টাক্ট দেওয়ার নেওয়ার আগে আমরা অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করি। এই অঙ্গীকারনামা থাকলে ভবিষ্যতে এর পক্ষ আরেক পক্ষের কথা না রাখলে পা টাকা লেনদেন না করে আত্মসাৎ করলে আপনি এই অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করে আইনি আশ্রয় গ্রহণ করে আপনার সমস্যা সমাধান পেয়ে যাবেন। তাই ভবিষ্যৎ জটিলতা দূরীকরণের অঙ্গীকারনামার বিকল্প নেই।
কিভাবে অঙ্গীকারনামা লিখবেন
অঙ্গীকারের নাম আর লেখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন দামের স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লিখতে হবে। এসকলে স্ট্যাম্প বাদে আপনি সাদা কাগজ বা বিভিন্ন কাগজে অঙ্গীকারনামা লিখলে তার কোন ভ্যালু থাকে না। স্ট্যাম্পে লেখা চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা বাদে অন্য কোন সাদা কাগজে অঙ্গীকারনামা বাদ চুক্তিপত্রের লেখা আইনিভাবে কখনো গ্রহণযোগ্য হয় না।
তবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সিল বা লোগো দিয়ে কোন কাগজে চুক্তিপত্র লেখা যাবে। কোন সুপরিচিত ব্যবসায়ী বা দোকানের ক্ষেত্রে তাদেরকে ক্যাশ মেমো আইনি আদালতের জন্য গ্রহণযোগ্য বলে আপনি ওই সকল প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ মেমো ব্যবহার করে অঙ্গীকারনামা চুক্তিপত্র করতে পারেন। অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে চুক্তিপত্র জুডিশিয়াল বা নন জুডিশিয়াল স্টাম্পেই লেখা সব থেকেই ভালো হয়।
- অঙ্গীকারনামা স্ট্যাম্পে যেসব বিষয় উল্লেখ থাকবে
- এক স্ট্যাম্পের সর্বপ্রথম যেই তারিখে আপনি এই চুক্তিপত্রটি দাখিল করতেছেন সেই তারিখ উল্লেখ করতে হবে
- অঙ্গীকারনামায় উভয় পক্ষের নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর ভোটার আইডি নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে
- অঙ্কিকার নামে যে কারণে অঙ্গীকার করা হচ্ছে অবশ্যই সেই উদ্দেশ্য বা কারণ উল্লেখ করতে হবে
- এই অঙ্গীকারনামায় কোন পক্ষ কোন কোন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এর বিস্তারিত তথ্য তুলে করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামার মেয়াদকাল উল্লেখ থাকতে হবে।
- অঙ্গীকারনামার নিচে দুই পক্ষের স্বাক্ষর রাখতে হবে এবং তারিখ এবং নিজ নিজ সাক্ষীর স্বাক্ষর সহ দিতে হবে।
চুক্তি বা অঙ্গীকারনামা যেসব শর্তের ওপর আইনের দৃষ্টিতে বৈধতা
- প্রথমে চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের নাগরিক এবং সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের হতে হবে।
- প্রত্যেক অঙ্গীকারনামায় একজন আরেকজনকে চুক্তি প্রদান বা প্রস্তাব প্রদান করবে।
- এই প্রস্তাবে উভয় পক্ষের সম্মতি থাকতে হবে।
- অঙ্গীকারনামায় নির্দিষ্ট কারণ এবং প্রতিদান উল্লেখ করে ই চুক্তিপত্র করতে হবে।
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
অঙ্গীকার নামা লিখতে সর্বপ্রথম তারিখ উল্লেখ করতে হবে। অঙ্গিকার নামে গ্রহনকারী উপায় পক্ষের দুই ব্যক্তির নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করে অঙ্গীকারনামার মূল কারণ বা উদ্দেশ্য উল্লেখ করতে হবে। এই নিবন্ধে একটি উদাহরণসহ আপনাদের সামনে চুক্তিপত্রের নমুনা তুলে ধরা হয়েছে।
আমি………… পিতার নাম…….. মাতার নাম…….. পেশা ……..ঠিকানা ……..বয়স…. ধর্ম….. জাতীয়তা …….জাতীয় পরিচয় পত্র নং…………।
যে এই মর্মে অঙ্গীকারপূর্বক ঘোষণা করছি যে ,(উভয় ব্যক্তি যে বিষয়ের উপর অঙ্গীকার করবেন সেইসব শর্ত উল্লেখ করে কোটেশন করে উল্লেখ করতে হবে)।
কোন ধরনের আইনি জটিলতা থাকলে সেটিও উল্লেখ করতে হবে (শর্তাবলীর ভিতর থাকলে প্রয়োজন ক্ষেত্রে)।
আমি ঘোষণা করছি যে, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে এবং সজ্ঞানে কোন ধরনের কুপরামর্শ ব্যতীত এই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করিলাম।
তারিখ( বাম পাশে):
স্বাক্ষর (ডানপাশে):
মোবাইল নম্বর:
ইমেইল:
চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম বা নমুনা
বর্তমান সময়ে চাকরির ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা প্রযোজ্য। আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করবেন সেই কোম্পানির পলিসি অনুসারে আপনার অঙ্গীকারনামায় শর্ত বলি উল্লেখ করা থাকে। আপনি কতদিন ছুটি পাবেন কত বেতন পাবেন এবং কবে চাকরি রিজাইন দিতে পারবেন তা নিয়ে একটি অঙ্গীকারনামা লেখা হয়। কোন কোম্পানি চাকরিতে জয়েন করবে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে। তাই এই অঙ্গীকারনামা সঠিকভাবে দেখে বিবেচনা করে আপনি কোম্পানিতে জয়েন করবেন।চাকরির জন্য নির্দিষ্ট জামানত বা সনদপত্র জমা দিতে হবে কিনা সবকিছুই অঙ্গিকার নামে উল্লেখ করা থাকবে।
চাকরির জন্য অঙ্গীকারনামা
আমি………….. পিতা…………… মাতা ………………..ঠিকানা……………. স্থায়ী ঠিকানা………… ডাকঘর ……………উপজেলা……….. জেলা………. জাতীয়তা………………..।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর ঢাকা গত তারিখ ………….তারিখের ………….. নাম্বার অফিসে আদেশের আলোকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী (১৮০০০/২২০০০ বেতন স্কেলে বাংলাদেশ বেতার রাজস্ব খাৎভুক্ত’’ স্টোর কিপার র্পদে’’’ নিয়োগ পাই। আমার রোল…………..
আমি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতেছি যে আমি এই চাকুরী অবস্থায় কোন রকম খারাপ ও অপরাধমূলক কাজ করব না। সর্বদাই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারবিধি মোতাবেক যেকোনো শাস্তি গ্রহণ করতে বাধিতে থাকব।
আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে উপরে বর্ণিত অঙ্গীকারনামায় আমি স্ব শরীরে ও সুস্থ মস্তিষ্কে বিবরণ পরিয়া নিম্নে স্বাক্ষর করিলাম।
সাক্ষী গনের স্বাক্ষরও ঠিকানা
১/
২/
নাম পদবী
রাজস্ব খাতভুক্ত বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র ঢাকা
কলেজে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
আমরা কোন কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে বা কলেজের পরীক্ষার আগে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হয়। আমরা কোন কলেজে ভর্তি হই বা কোন কলেজে পরীক্ষায় অনলাইনে প্রাথমিকভাবে আবেদন করার জন্য আমাদের অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন হয়।

আপনার নির্দিষ্ট তথ্যাবলী দিয়ে আপনি অঙ্গীকারনামা পূরণ করুন।
বিয়ের অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
কাজী অফিসেই হোক বা কাজি দ্বারা বিয়ে পড়ানোর সময় পাত্র-পাত্রী সামনে যে মুলতবি পাঠ করা হয় তারই নাম হচ্ছে অঙ্গীকারনামা এই অঙ্গীকার নামে পাত্রপাত্রের যাবতীয় তথ্যাবলী পিতা-মাতার নাম দেনমোহরের কথা উল্লেখ করা থাকে। এই অঙ্গীকারনামা কাজী অফিসেই বানানো হয় আগে হাতে লেখা কাবিননামা ছিল কিন্তু এখন প্রিন্টেড অঙ্গীকারনামা পাওয়া যায়। বিয়ের অঙ্গীকারনাম ায় নির্দিষ্ট শর্ত উল্লেখ করা থাকে। বিয়ের দেনমোহ র অঙ্গিকার নামের প্রধান কারণ। বিবাহ বিচ্ছেদ হলে এই অঙ্গীকার নামায় প্রধান সাক্ষী হিসেবে কাজ করে এবং পরবর্তী আইনে আশ্রয় মিলে এই অঙ্গীকারনামা অনুযায়ী পাত্র-পাত্রীকে দেনমোহর ফেরত দিতে বাধ্য।
“
অঙ্গীকারনামা
(বিবাহ সংক্রান্ত)
আমি-……………, বয়স-……………. বৎসর, পিতা……………, সাং-…………., পোঃ…………… থানা…………… জেলা-…………………. ধর্ম-………… পেশা………… জাতীয়তা- বাংলাদেশী।
এবং
আমি-………… বয়স……….. বৎসর……………., সাং-……………., জেলা…………- ধর্ম-………….পেশা………….. জাতীয়তা- বাংলাদেশী।
আমরা প্রতিজ্ঞা পূর্বক নিম্নরুপ ঘোষনা করিতেছি যে,
১। যেহেতু- আমারা উভয়েই বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা ও নাগরিক, স্বীয় ভাল মন্দ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান সম্পন্ন হলফ করার যোগ্য এবং যে কোন আইনানুগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্ন ক্ষমতা ও অধিকার আমাদের রয়েছে।
২। যেহেতু- আমারা উভয়েই আরো দৃঢ় ভাবে ঘোষনা করছি যে, আমারা উভয়ে দীর্ঘদিন যাবত একে অপরকে চিনি ও জানি। উক্ত চেনা জানার সুবাদে আমাদের মধ্যে প্রেম-ভালবাসার সৃষ্টি হয় এবং আমারা একে অপরকে গভীর ভাবে ভালবাসিতে থাকি। বর্তমানে আমাদের অবস্থা এইরুপ যে, একজন অপরজনকে ছাড়া বাঁচিব না। এমতাবস্থায় আমারা উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহন করি এবং উক্তরুপ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৭/১২/২০১৪ইং তারিখ শুভ লগ্নে অগ্নিযজ্ঞ সপ্তপদী অনুষ্ঠান সম্পাদন পূর্বক হিন্দু সনাতন/ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী ধর্মীয় যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনান্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছি। বিবাহের পর হইতেই আমারা উভয়েই স্বামী-স্ত্রীরুপে দাম্পত্য জীবন যাপন করছি এবং আমারা আজীবন স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ঘর সংসার করব। অদ্য অত্র হলফনামা দ্বারা আমাদের বিবাহের ঘোষনা দিলাম।
ষ্ট্যাম্পের দ্বিথীয় পাতা
(পাতা-২)
- আমরা ঘোষণা করছি যে বিবাহে আমাদের অভিভাবক মহলের চাপা অন্য কোন কারণে কোনভাবেই অস্বীকার করবে না আমাদের এই দাম্পত্য জীবন যাপন কারো কোন গুজবের আপত্তি থাকলে সর্ব আইন আদালত অগ্রাহ্য হবে।
- যেহেতু আমরা ঘোষণা করেছি যে আমাদের বিবাহ আমাদেরকে কেউ ফুসলাইয়া কিংবা কোন পরামর্শ দিয়ে করে নাই তাই আমরা স্বেচ্ছায় এই বিবাহ করতে সম্মতি জ্ঞাপন করছি।
- আমরা ঘোষণা করছি যে বিবাহের এই অঙ্গীকারনামা আমাদের বিবাহের মূল দলি ল এবং সমাজ ও আদালতে গণ্য হইবে।
- আমি ঘোষণা করছি যে আমরা ও ভাই আজীবন স্বামী স্ত্রী হিসাবে একই ঘরে সংসার করবো আমাদের বৈবাহ িক সম্পর্ক ছিন্ন হলে আমি আমার স্ত্রীকে তার ক্ষতিপূরণ বাবদ এত টাকা প্রদান করতে বাধ্য থাকব।
- উপরোক্ত বিবরণ শুনো আমাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য জেনে আমরা নিজেরাই পড়ে এবং অবগত হয়ে অদ্য লটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া কারো খারাপ পরামর্শ ব্যতীত আমরা নিজেই স্বাক্ষর করিলাম।
আমি হলফকারীদ্বয়কে চিনি ও জানি । হলফকারীদ্বয়ের সহি/স্বাক্ষরঃ-
তাহারা আমার সম্মুখে হাজির হইয়া
নিজ নাম স্বাক্ষর করিলেন।
আমি তাহাদেরকে সনাক্ত করিলাম।
এ্যাডভোকেট হলফকারীরর স্বাক্ষরঃ
সর্বশেষে এই বলা যায় আপনারা কোন ধরনের চুক্তি করার সময় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রযোজ্য এক টাকা দশ টাকা ২০ টাকা ১০০ টাকা ২০০ টাকা এর স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লিখবেন। তাহলে আপনি অবশ্যই আইনি আশ্রয় গ্রহণ করলে আপনার প্রযোজ্য সমস্যার সমাধান ও ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারবেন। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানিতে চাকরি বা কারো সাথে কোন ঠিকাদারি চুক্তি করার সময় অবশ্যই আপনারা অঙ্গীকার নামা করে এসব চুক্তিপত্র দাখিল করবেন। সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এই অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।র