টিপস

অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই

আমরা অত্যন্ত মজার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রীতি সময় চালু করেছে একটি নতুন এবং অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। আপনি চুপিসারে কোন বিবাহ সম্পন্ন করলে সেটি অরজিনাল বিবাহ হয়েছে কিনা সেটি যাচাই করার পদ্ধতি চালু হয়েছে। অর্থাৎ এখন অনলাইনে কেউ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে কিনা সেটি যাচাই করা যাবে। তাই আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরাও অনলাইনে বিভিন্ন রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার সমস্ত পদ্ধতি জানিয়ে দেবো। আপনারা যারা অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার পদ্ধতি জানতে চেয়ে আমার এই অনুচ্ছেদে এসেছেন তাদের সকলকে স্বাগতম।

দুইটি মানুষ যখন সারা জীবন একসাথে থাকার পণ করে তখন তারা একে অপরের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সন্তান উৎপাদন করার বৈধতা লাভ করে। আর এই টোটাল পদ্ধতিতে বিবাহ বলে। হিন্দু আইন কিংবা মুসলিম আইনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হলে নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পাদন করতে হয়। ধর্মীয় মতে বিবাহ করার পাশাপাশি আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুসারে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা জরুরী। এর জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি চালু হয়েছে এখন সকল ধরনের বিবাহের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু আছে।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা

একটা সময় ছিল যখন মানুষ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে চাইনি। এটি ইসলাম সমাজে বহুদিন থেকে প্রচলিত থাকলেও হিন্দু সমাজে এতদিন প্রচলিত ছিল না। বরং হিন্দুরা ঈশ্বরের প্রদত্ত নিয়ম অনুসারে বিবাহ করত এবং সেই অনুসারে চলত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কারণে বাংলাদেশ সরকার এই আইন করতে বাধ্য হয়েছে যে হিন্দু বিবাহের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন সম্পাদন করতে হবে। হিন্দু আইনে যেহেতু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে কিছু বলা নেই সেহেতু বিবাহিত জীবনের পরবর্তীতে কেউ যদি সে বিবাহকে অস্বীকার করে সেটি সম্পর্কে কারো নির্দিষ্ট করে কোন অভিযোগ দায়ের করার আইন থাকে না। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন চালু হয়েছে।

এর সুবিধা হল আপনার জীবনের নিরাপত্তা বহাল থাকে। এবং আপনারা রাষ্ট্র আইনে বৈধভাবে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে পারেন।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে প্রয়োজনে কাগজপত্র

  • বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য পাত্র এবং পাত্রীকে অবশ্যই পূর্ণবয়স্ক হতে হবে।
  • সেক্ষেত্রে কনের বয়স ১৮ বছর এবং ছেলের বয়স ২১ বছর হতে হবে।
  • দুইজনের জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • এবং দুইজন সাক্ষীর প্রয়োজন হবে।

অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই

এখন অনলাইনের এই যুগে যা কিছু করবেন সবকিছু অনলাইনে এলিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের ডাটাবেজে সবকিছু থাকে আপনি চাইলে সেখান থেকে বের করে নিতে পারবেন যেকোনো তথ্য। সেক্ষেত্রে যে তথ্যগুলোর উপর আপনার রাইটস থাকে শুধুমাত্র সেই তথ্যগুলো বের করে নিতে পারবেন। বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার এখনো কোনো পদ্ধতি বাংলাদেশ সরকার চালু করিনি। কিন্তু খুব শীঘ্রই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু হবে এবং অনলাইনে এই রেজিস্ট্রেশন যাচাই করা যাবে।

এসএমএস এর মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই

তবে এসএমএসের মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করা যাচ্ছে। কিভাবে এসএমএসের মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন সে সম্পর্কে আমি নিচে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।

আপনি আপনার আইডি নম্বর উদাহরণ: (M 5001010050080) এর পরে 32551 নম্বরে M অক্ষরটি এসএমএস করুন। ফিরতি এসএমএসে আপনি আপনার বৈবাহিক অবস্থা এবং বিয়ের তারিখ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *