টিপস

অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

বর্তমান সময়ে অনলাইনে লোন পর বিভিন্ন রকম উপায় আছে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে লোন প্রদান করতেছে। মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ এ সকল প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে তাদের কাস্টমারদের লোন প্রদান করে থাকে। আপনিও যদি কোন কারণে অনলাইনে লোন গ্রহণের সুযোগ নিতে চান তাহলে আমার এই অনুসারটি আপনার জন্য। আমার এই আর্টিকেলটিতে খুব সুন্দরভাবে অনলাইনে লোন পাওয়ার বিভিন্ন মাধ্যম তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আমার এই অনুচ্ছেদে আপনি অনলাইনে লোন আবেদন করতে পারবেন এবং উত্তোলন করতে পারবেন। মনে রাখতে হবে আপনি লোন গ্রহণের জন্য তখন মনোনীত হবেন যখন আপনি তাদের প্রাইভেজে পলেছি মেনে নিতে পারবেন। আশা করি আমার এই অনুচ্ছেদটি আপনাদের কাজে লাগবে এবং আপনি অনলাইনে লোন পেতে সক্ষম হবেন।

লোন হল একটি ধার যা কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা থেকে অন্য কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে টাকা পরিশোধ না করলে পরিশোধের জন্য নেওয়া হয়। লোন একটি পারদর্শী চুক্তি থেকে উপস্থিত হয় যেখানে নির্দিষ্ট শর্তাবলী মেনে লোন গ্রহণ করা হয়। লোন দেওয়া সংস্থা কার সাথে লোন চুক্তি স্বাক্ষর করে সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে অর্থ উপস্থাপন করতে হবে এবং সে সময়ে লোন পরিশোধ করতে হবে।লোন বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন ব্যক্তিগত লোন, বাণিজ্যিক লোন, বাসা লোন, শিক্ষাগত লোন ইত্যাদি। লোনের জন্য সাধারণত নির্দিষ্ট সুদ ও আবেদন ফি প্রয়োজন হয়। লোন গ্রহণের জন্য সরকার ও ব্যাংক সংস্থা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় যাতে লোন গ্রহণকারীদের সুবিধা করে ।

অনলাইনে লোনের আবেদন যেভাবে করবেন

লোন গ্রহণ করার আগে লোন গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট শর্তাবলী মেনে নিতে হয়। এই শর্তাবলী হল লোনের পরিমাণ, সুদের হার, লোন পরিশোধের সময়সূচী, লোন পরিশোধের উপায় ইত্যাদি। সমস্ত শর্তাবলী মেনে না রাখলে লোন পরিশোধের জন্য জরিমানা ও সংস্থার কাছে অবহিত করা হয়।

ব্যক্তিগত লোন এর ক্ষেত্রে সাধারণত কোন সমস্যার আবদ্ধতা থাকে না, কিন্তু বাণিজ্যিক লোনে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে লোন দিতে হলে অনেকটা জটিল হতে পারে। একটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন লোন নেয়, তখন লোনের জন্য বিশেষ কোন সমস্যা থাকলে সে সমস্যাটি সমাধান করতে হবে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল লোন গ্রহণকারীর আর্থিক সম্পদের মান ও সম্পদের প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় করা।

অনলাইনে বিকাশ মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে লোন গ্রহণ

আপনারা সকলে জানেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিকাশ। এটি বাংলাদেশের সকল উপজেলায় এবং প্রত্যেকটি গ্রামে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করেছে এবং এর মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা লেনদেন করা যায়। আপনি যদি বিকাশে ট্রান্স এন্ড কন্ডিশনের মধ্যে পড়ে যান তাহলে খুব সহজেই অনলাইনে লোন আবেদন করতে পারেন। কিভাবে বিকাশ থেকে লোন গ্রহন করবেন সে বিষয়ে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি। আপনি এ পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহন করতে পারবেন।

  • #১. বিকাশের অ্যাপে লগইন করুন এবং MORE অপসনে গিয়ে Loan এ ট্যাপ করুন।
  • #২. আপনার তথ্য শেয়ার করার অনুমতি প্রদান করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
  • #৩. তারপর Take Loan এ ট্যাপ করে পরের ধাপে লোনের পরিমাণ এবং কিস্তির মেয়াদ নির্বাচন করে এগিয়ে যান।
  • #৪. আপনি ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ পেতে পারেন এবং আপনাকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা দেখুন, এবং পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
  • #৫. লোন সম্পর্কে নির্দেশাবলী এবং নিয়মাবলী পড়ুন এবং “Agree” তে ট্যাপ করুন।
  • #৬. লোন নিশ্চিত করতে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন দিন এবং বিকাশের উপর ট্যাপ করে লোন রিকুয়েস্ট সম্পন্ন করুন।

সিটি ব্যাংকের অনলাইনে লোন আবেদন

আপনারা সকলে জানেন সিটি ব্যাংক বিকাশের অনলাইন পার্টনার। বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক যৌথভাবে তাদের গ্রাহকদের লোন সেবা প্রদান করে থাকে। আপনি সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে লোন গ্রহণ করবেন সে বিষয়ে আমি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনি চাইলে আমার এই তথ্যগুলো দেখে নিতে পারেন। আপনি এ পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহন করতে পারবেন।

  • বিকাশ এপ ইউজার তাদের বিকাশ অ্যাপে ”More বা আরো” অপশনে যেতে হবে।
  • তারপর “Loan বা লোন” আইকনটিতে ট্যাপ করতে হবে।
  • ঋণ নিতে গ্রাহককে তার বিকাশকে দেয়া তথ্য সিটি ব্যাংককে দেয়ার সম্মতি দিতে হবে।
  • এখানে গ্রাহক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঋণ হিসাবে কত টাকা পেতে পারেন তা দেখতে পারবেন। দেখে লোন নিন অপশনে ট্যাপ করতে হবে।
  • এর পর লোন এর পরিমাণ এবং কিস্তির মেয়াদ সিলেক্ট করতে হবে।
  • ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন নিচ্ছেন ও কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা দেখিয়ে দিবে। এগিয়ে যান বাটনে ট্যাপ করে পরের ধাপে যেতে হবে।
  • লোনের নির্দেশনা ও নিয়মাবলী পড়ে নিয়ে “সম্মতি দিন” এ ট্যাপ করতে হবে।
  • লোন কনফার্ম করতে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টের পিন প্রদান করতে হরে।
  • শেষ বারের মতো বিকাশ আইকনে ট্যাপ করে প্রকৃয়া সম্পন্ন করতে হবে।

এই ঋণে প্রযোজ্য সুদ ও অন্যান্য বিধি বিধান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পালন করা হবে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইনে লোন আবেদন

সরকারি বিশেষ কর্মসূচির আওতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঝুঁকিপূর্ণ কাছে নিয়ে যেত শিশুদের নিরাপদ আবাসনের উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর আওতায় সরকার বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে লোনের সুবিধা দিয়েছে। এভাবে আপনি সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহন করতে পারবেন। বেকারত্ব দূরীকরণ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প এবং ক্ষুদ্র খামারিদের এই লোন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা

আপনি যদি কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। কোন কোন বিষয় গুলো আপনার মধ্যে থাকা দরকার তা নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলোঃ

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • যে শাখা থেকে নিতে ইচ্ছুক, সে এরিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • বেকার অথবা অর্ধবেকার যুবক যুবতিরা এই লোন পাবেন।
  • ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ এই লোনের জন্য ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন।
  • অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ খেলাপী হলে ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন না।
  • গ্রহিতার ঋণ ব্যবহারের যোগ্যতা, ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ও আর্থিক আচরণকে বিচার করা হবে।
  • ঋণ গ্রহিতাকে ইকুইটি বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে (শুধুমাত্র প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • গ্রহিতার প্রকল্প পরিচালনার বিষয়ে প্রশিক্ষন অথবা অভিঙ্গতা থাকতে হবে।

এছাড়াও যারা বিয়ে করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত বেকার, তারাও এই লোন পাবেন।

লোনের জন্য আবেদন

প্রথমে ব্যাংকের ওয়েব সাইটে চলে আসতে হবে। লোন এপ্লিকেশন ফর্মে আসার পর:

  1. প্রথমে আপনাকে আপনার প্রজেক্ট এরিয়া সিলেক্ট করতে হবে।
  2. তারপর আপনার নাম।
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার।
  4. মোবাইল নাম্বার।
  5. বাবার নাম/ স্পাউসের নাম।
  6. মায়ের নাম।
  7. বর্তমান এবং স্থায়ি ঠিকানা দিতে হবে।
  8. তারপর গ্যারান্টারের নাম।
  9. তার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার।
  10. বার্থ ডেট।
  11. সবার শেষে প্রজেক্ট টাইপ বা প্রজেক্টের নাম সিলেক্ট করতে হবে।

লিখা হয়ে গেলে “Submit” অপশনে ক্লিক করে ফর্মটি জমা দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *