ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৩

সম্মানিত সুধী, আশা করি সকলে ভালো আছেন। আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম নতুন আরেকটি নিবন্ধ। আপনারা যারা ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৩ জানতে চেয়ে অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের জন্যই মূলত আমার আজকের এই নিবন্ধ। আমার এ নিবন্ধে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার পদ্ধতি এবং তদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করব। ভালোভাবে বোঝার জন্য সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার আহ্বান রইল।
ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
আপনি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন কিংবা পাসপোর্ট এর মেয়াদ রিনিউ করার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু কিভাবে ই পাসপোর্ট ফি জমা দিবেন তা জানেন না। আপনার জন্যই আমার আজকের এ নিবন্ধে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম তুলে ধরব।
ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেয়ার দুইটি পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। একটি হলো সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সোনালী বিল পেমেন্ট সিস্টেম এবং অপরটি হল অটোমেটেড চালান বা A Chalan । দুটি নিয়মের যেকোনো একটি উপায়েই আপনি পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধ করতে পারবেন। যেকোনো দুটি পদ্ধতি নিরাপদ। তবে মনে রাখতে হবে সরাসরি জমা দেয়ার পদ্ধতি হলো সোনালী বিল পেমেন্ট সিস্টেম এবং অনলাইনের মাধ্যমে জমা দেয়ার পদ্ধতি হলো এ চালান। এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা মেনে চলতে হবে।
ই পাসপোর্ট কতদিনে পাওয়া যায়?
আপনি যদি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে পারে যে, আবেদন করার এবং পেমেন্ট করার কতদিনের মধ্যে ই পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে। আপনার এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমি হাজির হয়েছি। আপনি ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করতে হবে। ফ্রী পরিশোধ করার সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে ই পাসপোর্টটি আপনার কাছে ডেলিভারি করা হবে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যদি জরুরী ভিত্তিতে আপনার ই পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু ফি পরিশোধ করে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে ই পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট ব্যাংক ড্রাফট কত?
আপনি কি ই পাসপোর্ট করতে চান? আপনি কি ই পাসপোর্ট ব্যাংক ড্রাফট কত টাকা তা জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। ই পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা তা নিয়েই আমার এই অনুচ্ছেদ। আপনি যদি ১৫ দিনের মধ্যে এই পাসপোর্ট হাতে নিতে আগ্রহী তাহলে আপনাকে ৫৫০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে। আর যদি জরুরী ভিত্তিতে সাত দিনের মধ্যে ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে চান তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত খরচ সহ ৭৫০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে।
ই পাসপোর্ট ব্যাংক ড্রাফট করার মেয়াদ
আপনি কি পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো পেমেন্ট করেননি কিংবা কোন বিশেষ কারণে পেমেন্ট করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে আপনি জানেন না কতদিন পর্যন্ত ই পাসপোর্ট এর ব্যাংক ড্রাফ্ট করার মেয়াদ থাকে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমি হাজির হয়েছি। ই পাসপোর্ট এর আবেদন করার পর সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত পাসপোর্ট ফি বা ব্যাংক ড্রাফ্ট করার মেয়াদ থাকে। সুতরাং তাড়াহুড়ো না করে ধীর স্থির ভাবেই আপনি ই পাসপোর্ট এর ফ্রি ব্যাংক ড্রাফট করতে পারবেন।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
আপনি যদি ঘরে বসেই ই পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে আমার এই অনুচ্ছেদটি আপনার উপকারে আসবে। এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন খুব সহজেই কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধ করা যায়। এজন্য আপনাকে
- প্রথমে এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে।
- পাসপোর্ট অপশন থেকে ই পাসপোর্ট ফি তে ক্লিক করতে হবে।
- এখান থেকে প্রথমে পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা বাছাই করতে হবে তারপর পাসপোর্ট এর মেয়াদ ডেলিভারির ধরন বাছাই করতে হবে।
- বাছাই শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকার পরিমাণ দেখাবে।
- নিচ থেকে ওকে বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর যে ব্যক্তি পাসপোর্ট এর জন্য কি পরিশোধ করা হচ্ছে তার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। মনে রাখতে হবে নাম লেখার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট আবেদনের সাথে মিল রেখে এন্ট্রি করতে হবে।
- তারপর পেমেন্ট করার জন্য ব্যাংক বাছাই করতে হবে। আপনি ছেলে বিকাশ, নগদ, রকেট বা সোনালী ব্যাংক থেকে বিল পেমেন্ট করতে পারবেন। এরপর সেভ বাটনে ক্লিক করলে পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।