টিপস

চোখ উঠলে কি করবেন | চোখ ওঠা রোগের ঔষধ

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, সকলকে আমার নতুন অনুচ্ছেদে স্বাগতম। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমার আজকের অনুচ্ছেদে চোখ ওঠা সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা চোখ ওঠার সমস্যায় ভুগছেন তাদের সমস্যার সমাধানে আমার আজকের অনুচ্ছেদ ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করি। আপনি যদি চোখ ওঠা সমস্যার সমাধান জানার জন্য অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে আমার আজকের এই অনুচ্ছেদ আপনার জন্যই।

ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। আর ঋতুর এই পরিবর্তনের সাথে বাড়ছে শারীরিক রোগ ব্যাধি। এরকমই একটি সাম্প্রতিক সমস্যার নাম চোখ ওঠা। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এর নাম কনজাংটিভাইটিস। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, চোখটা সমস্যা দেখা দিলে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। আমার আজকের অনেক ছেলে চোখ ওঠার সমস্যার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করব।

চোখ ওঠার কারণ

চোখ ওঠার জন্য প্রধানত দায়ী হলো ভাইরাস। ভাইরাসের আক্রমণে চোখ উঠে থাকে। চোখ ওঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে এই রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চোখ ওঠার লক্ষণ

চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়।

  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোখ উঠা বা চোখ ওঠা সমস্যার প্রতিকার কনজাংটিভাইটিস পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবার পৃথক কাপড়, তোয়ালে থাকতে হবে।
    পুরো হাত ভালোমতো পরিষ্কার করতে হবে। যেসব বিষয় শিশুর জন্য এলার্জিক তা থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে।

চোখ ওঠা সমস্যার প্রতিরোধ

কনজাঙ্কটিভাইটিস আমাদের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয়ের (চোখে) রোগ। এই রোগ হলে চোখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য চোখ ওঠা রোগে অবহেলা করা উচিত নয়। লক্ষণগুলো শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলো হল:

  • এক জনের ব্যবহৃত তোয়ালে অন্যজন ব্যবহার না করা।
  • ডাক্তারের পরামর্শমত সঠিকভাবে সঠিক সময় ঔষধ নেয়া।
  • ঘনঘন চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকা ও চোখে বার বার পানির ঝাপসা না দেয়া।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির চোখে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • ধূলা-বালি ও সূর্যের আলো থেকে চোখ রক্ষায় কালো সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।
  • পুকুর কিংবা নদীর পানিতে গোসল করা, মুখ ধোয়া ইত্যাদ থেকে বিরত থাকতে হবে।
    চোখ উঠা ছোঁয়াচে রোগ।
  • তাই পরিবারের অন্যান্যদের সাথে মেলামেশা কমানো উচিৎ।
  • শিশুদের চোখ উঠলে হালকা বা কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে
  • চোখের পাতা খোলা রাখতে হবে। তবে জোড়পূর্বক খোলা রাখার চেষ্টা করা যাবে না
  • আক্রান্ত চোখ স্পর্শ করলে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।

উপরোক্ত প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়মমাফিক মেনে চলে চোখ ওঠা সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা যেতে পারে বলে আশা করা যায়। সতর্কতা অবলম্বন করুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *