টিপস

ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো

সম্মানিত সুধী আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে এই পর্বে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পর্বে ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা বা ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার কি?এ নিয়ে বিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স বিআরটিএ কর্তৃক প্রদান করা হয়। মোটরসাইকেল লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ব্যক্তিদের তিনটি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হবে। তাই বি আর টি এ কর্তৃক বাংলাদেশ মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানব ?এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার ২০২৩? এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আমাদের আজকের এই পর্বে।

বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন উন্নতির দিকে। দিন দিন মোটরসাইকেল পরিবহন সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চলতি রাস্তায় দক্ষ এবং নিরাপদ ভাবে রাস্তায় গাড়ি ড্রাইভিং করা উচিত। ড্রাইভিং করার সময় অবশ্যই পরিবহন নিয়ম কানুন মেনে ড্রাইভিং করতে হবে। তাই বাংলাদেশ সরকার এ সকল নিয়মকানুন ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে। গাড়ি ড্রাইভিং করার সময় আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে সময় চাই জীবনের মূল্য অনেক বেশি। ঝুঁকি না নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি মেনে রাস্তায় ড্রাইভিং করা উচিত। একটি দুর্ঘটনা শুধু আপনার জীবন যাবে না যার সাথে এক্সিডেন্ট ঘটে তারও জীবন যেতে পারে।

তাই দুর্ঘটনা এড়িয়ে আমরা সুস্থ এবং নিরাপদ ভাবে রাস্তায় ড্রাইভ করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার রাস্তা পরিবহন করতে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চালকদের জন্য কিছু প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেয় যার মাধ্যমে প্রমাণ করে পরিবহন ব্যবস্থা চলাচল করতে যোগ্য ব্যক্তি। এরই মাধ্যমে ব্যক্তিকে প্রমাণ করে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিআরটিএ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে। আজকের এই অনুষ্ঠাতে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবেন বা কিভাবে চেক করবেন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি এবং কেন করতে হয় ?

ড্রাইভিং লাইসেন্স বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি ড্রাইভিং কার্ড। ড্রাইভিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গাড়িচালকরা তাদের যোগ্যতা ও প্রমাণপত্র অনুযায়ী সরকার পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক।এই কার্ড পেয়ে থাকে। ব্যক্তির নির্দিষ্ট যোগ্যতা অনুযায়ী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গাড়ি চালানোর যোগ্যতা প্রমাণ করে যে কার্ড বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পায় তাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্ডগুলো সাধারণত প্লাস্টিকের হয়ে থাকে বা এটি ক্রেডিট কার্ডের মত গঠন বিশিষ্ট হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র  প্রয়োজন তা নিয়ে নিচে বর্ণনা করা হলো। ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য আবেদন করতে অবশ্যই ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর উর্ধ্বে হতে হবে। যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হলো
১ .ন্যাশনাল আইডি কার্ডের রঙিন ফটোকপি।
২. মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলের শতকৃত কবি অবশ্যই মেডিকেল অফিসার দ্বারা সত্যায়িত করতে হবে।
৩. ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নির্ধারিত আবেদনপত্র বা অ্যাপ্লিকেশন ফরম।
৪. পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এক কপি এবং স্ট্যাম্প সাইজের রঙিন কালার ছবি তিন কপি।

৫ .আবেদন ফরমের ফি জমা দিতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম দুইভাবে সংগ্রহ করা যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। করার জন্য আপনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ওয়েবসাইট বিআরটিএ ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। অনলাইনে নিষ্ঠুর তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন। অথবা আপনি অফলাইনে বিআরটিএ অফিস থেকে কতজন ফরম সংগ্রহ করে অফিসে জমা দিতে পারেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ২০২৩? ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানব

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিআরটিএ থেকে প্রত্যেক বছরই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবেন এ নিয়ে বিস্তার আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই অনুচ্ছেদে। অনলাইনে বা অফলাইনে বিআরটিএ অফিসে আবেদন করার পর আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে বি আর টি এ কর্তৃক পরীক্ষার নোটিশ সংক্রান্ত তথ্য দেয়া হবে। পরীক্ষার্থীর ক্যাটাগরিতে নেওয়া হয় প্রথমে লিখিত পরীক্ষা তারপর মৌখিক এবং ফিল্ড টেস্ট বা প্রাকটিক্যাল ভাবে গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
১ .লিখিত পরীক্ষা
২. মৌখিক পরীক্ষা
৪. ফিল টেস্ট বা প্র্যাকটিক্যাল গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হবে।

তিন ভাবে পরীক্ষা নিয়ে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের জন্য এই সকল পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদন ফরমে আপনার প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার ফলাফল জানানো হবে। পরীক্ষায় আপনি উত্তীর্ণ হলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স বা স্মার্ট কার্ডের জন্য আর একটি সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।

ড্রাইভিং কার্ড বা ড্রাইভিং স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো

ড্রাইভিং স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই পরবর্তীতে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে আবেদন ফরম পূরণ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র  জমা দিতে হবে বিআরটিএ অফিসে।
১ প্রথমে নির্ধারিত ফরমের আবেদন করতে হবে।
২ রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট পত্র।
৩ জাতীয় পরিচয় পত্রের রঙ্গিন ফটোকপি ।
৪ পুলিশ ভেরিফিকেশন পত্র।
৫ পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এক কপি।
৬ ফরম পূরণের টাকা জমা দিতে হবে এক্ষেত্রে পেশাদার ফি ১৬৭৯ টাকা এবং অপেশাদার ফি হচ্ছে ২৫৪২ টাকা।

বি.দ্রঃ নির্ধারিত ফি বাবদ –

১ ক্যাটাগরির জন্য = ৩৪৫ টাকা (তিনশত পঁয়তাল্লিশ) মাত্র।

২ ক্যাটাগরির জন্য = ৫১৮ টাকা (পাঁচশত আঠারো) মাত্র।

ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো এসএমএস পদ্ধতি

আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করা হলে বায়োমেট্রিক তথ্য সাবমিট করার পর বিআরটিএ কর্তৃক একটি একিনলেজমেন্ট স্লিপ দেওয়া হয়। উক্ত সিলেট থেকে ডিএল নম্বরটি কপি করতে হবে। আপনি আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে DL রেফারেন্স নম্বরটি টাইপ করুন তারপর সিক্স ৬৯৬৯ নাম্বারে পাঠিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পরেই ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে চিফ যুক্ত স্মার্ট ড্রাইভিং কার্ড প্রস্তুত হয়েছে কিনা এর বর্তমান অবস্থা কি তার তথ্য প্রদান করা হবে।

  1. মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন “DL”স্পেস “রেফারেন্স নম্বর” ।
  2. সেন্ড করুন 26969 নম্বরে।
  3. আরেকটি মেসেজ আসবে।
  4. স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুতের বর্তমান আপডেটসহ তথ্য জানতে পারবেন।

অ্যাপস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পদ্ধতি

আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা এ নিয়ে চিন্তিত। আপনি খুব সহজেই এসএমএস বা এপ্স এর মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। অ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়। আপনাকে আপনার প্লে স্টোরে গিয়ে DL CHEKER  নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। উক্ত অ্যাপটি আপনার ফোনে ইন্সটল করার পর জন্ম তারিখ ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার সাবমিট করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সকল যাবতীয় ইনফরমেশন প্রদান করতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থায় কি এ সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হবে এই অ্যাপসের মাধ্যমে।

অ‌্যাপ ডাউনলোড
অ‌্যাপ ডাউনলোড

ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন কপি ডাউনলোড

ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে আপনি খুব সহজেই আমাদের আজকের এই অনুচ্ছেদে তথ্য পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশ বিআরটিএ কর্তৃক মোটরসাইকেল এর ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে। তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তীতে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পরবর্তী আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন করার কিছুদিন পরেই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে প্রায় তিন মাসের মত সময় লাগে। অনলাইনে আপনি খুব সহজেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি ডাউনলোড করতে আপনাকে প্রথমে প্লে স্টোরে গিয়ে একটি DL CHAKER অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এই অ্যাপসটি আপনার স্মার্টফোনে ইন্সটল করার পর আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দিয়ে খুব সহজেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *