পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা, স্ট্যাটাস, বাণী ও উক্তি ২০২৩

এই অনুচ্ছেদে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বার্তা, পহেলা বৈশাখের ছবি স্ট্যাটাস, পহেলা বৈশাখের আলোচনা করা হবে। তাই আপনারা যারা পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বার্তা অনুসন্ধান করে আমার এই অনুচ্ছেদে এসেছেন তাদের সকলকে স্বাগতম। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলের মিলে এই অনুষ্ঠানটির সর্বজনীনভাবে উদযাপন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটিকে অনেকে হিন্দুআনে উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এটি একটি অসাম্প্রদায়িক এবং সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমরা এই অনুচ্ছেদে একে অপরকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বার্তা জানানোর জন্য বেশ কিছু স্ট্যাটাস আপনাদের জন্য শেয়ার করব। আশা করি আমার এই অনুচ্ছেটি আপনাদের ভালো লাগবে।
পহেলা বৈশাখ বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, প্রতি বছর 14 এপ্রিল পালিত হয়। এটি বাঙালি জনগণের জন্য নতুন বছরের সূচনাকে চিহ্নিত করে এবং এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পাশাপাশি সারা বিশ্বের বাঙালি প্রবাসীদের মধ্যে একটি প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব।
উদযাপনে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা, সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং সঙ্গীত উপভোগ করা এবং বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে দেখা করা জড়িত। বাংলাদেশে, ঢাকার রমনা বটমূলে একটি বড় সমাবেশ হয়, যেখানে লোকেরা ঐতিহ্যবাহী গান গাইতে এবং নাচতে জড়ো হয়।
পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বার্তা
পহেলা বৈশাখ হল মানুষের জন্য বিগত বছরের প্রতিফলন, ভবিষ্যতের জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সমৃদ্ধি উদযাপন করার একটি সময়।”পহেলা বৈশাখ” হল বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, যা সাধারণত 14 বা 15 এপ্রিল পড়ে। এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে একটি সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে পালিত হয়।
পহেলা বৈশাখ উদযাপনের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, এটি 16 শতকে মুঘল যুগে ফিরে আসে যখন সম্রাট আকবর চন্দ্র-ভিত্তিক বাংলা ক্যালেন্ডারটি ফসল কাটার মৌসুমের সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য প্রবর্তন করেছিলেন। এই দিনটি বাংলা নববর্ষের সূচনা এবং বসন্ত ঋতুর সূচনাকে চিহ্নিত করে।পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ঐতিহ্যের প্রতীক। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত, নৃত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। তারা নতুন পোশাক পরে, মিষ্টি বিনিময় করে এবং বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে দেখা করে।
কিছু ইচ্ছে, সাড়া দিচ্ছে এ বসন্ত রাত জাগা
নিতি নৃত্যে, ফুল ছিড়তে শুধু তোমার কথাই ভাববো
আজ হাওয়া বেপরোয়া দিলো সন্ধ্যে পাখির ঝাঁক
এই বিকেল আর বেল ফুল হৃদ মাঝারে থাক ।
ধরণী আজ উঠিছে সাজি
মনের দক্ষিণ দার খুলে দেবো আজি
মাতাল হবো সুখে আজকে অনন্ত
সার্থক হবে ফাগুন, সার্থক বসন্ত।
বসন্ত মাস ভালোবাসায় ভরপুর
তুমি আর আমি ঘুরবো সারা দুপুর
বসন্তের ফুল গুজে দেবো তোমার খোপায়
ভালোবাসার এটাই তো সেরা সময়।
আসমান জমিন মিশে গেছে বসন্তেরই পরশে
সবার হৃদয় ছুয়ে গেছে অকাল প্রেমের আবেশে
ভালোবাসার জোয়ার ওঠে বসন্তের কূলে,
সেই জোয়ারে যুব-যুবতীর প্রাণ ওঠে দুলে।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যেই মেলেছি আখি
সামনে যকে দেখেছে সেজন কি তুমি?
বাসন্তি রঙ শাড়ীতে আজ লাগছে অপরূপা
খোলা চুলে জবা ফুলে বেঁধেছো ঐ খোপা।
বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে
সই গো বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে।
বাংলাদেশে, 1952 সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় পহেলা বৈশাখ উদযাপন একটি জাতীয় অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে, যা শেষ পর্যন্ত 1971 সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে পরিচালিত করে। দিনটি এখন অত্যন্ত উত্সাহ এবং দেশপ্রেমের সাথে পালিত হয়, এবং এটি বাংলাদেশে একটি সরকারি ছুটির দিন।
পহেলা বৈশাখের স্ট্যাটাস
পহেলা বৈশাখ অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবটি সার্বজনীন বা ব্যাপক হারে উদযাপন করার জন্য আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। একসাথে সকলকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বার্তা জানার জন্য আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করতে পারেন। তাই আমরা পহেলা বৈশাখের কিছু স্ট্যাটাস আপনাদের জন্য শেয়ার করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
> নতুন এই দিন,নতুন এই আলো,নতুন এই বছর ,নতুন কিছু ভালো ,নতুন কিছু কথা ,নতুন কিছু আশা ,নতুন করে জীবন নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা। শুভ নববর্ষ ১৪২৮
> বছর শেষের ঝরা পাতা বললো উড়ে এসে, একটি বছর পেরিয়ে গেলো হাওয়ার সাথে ভেসে, নতুন বছর আসছে তাকে যত্ন করে রেখো, স্বপ্ন গুলো সত্যি করে খুব-ই ভালো থেকো।
> পাখির ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম বন্ধু তোমরা উড়ে দেখো পাবে সুখের ঘ্রান। পুরোনো সব কষ্ট করে ফেলো নষ্ট! নতুন বছরের নতুন যাত্রা হয় যেন সুখ আর বিনোদনময়! এই কামনায় তোমাদের জানাই পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা!
> ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, নিয়ে যাক সঙ্গে সব মলিনতা । বৈশাখের সকালে, লাগুক প্রাণে আনন্দের এই স্পর্শ, মন থেকে আজ জানাই তোমায় “শুভ নববর্ষ”। নতুন পোশাক নতুন সাঁজ। নতুন বছর শুরু আজ। মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি। শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি।
> দিনগুলি যেমনই হোক, ঠিকই যায় কেটে। তবুও বল কি লাভ, পুরনো স্মৃতি ঘেটে। এ বছর পূর্ন হোক, তোমার সকল আশা। নববর্ষের এটাই আমার প্রত্যাশা। শুভ নববর্ষ-1430!!
> আকাশের সব নীল দিয়ে, প্রভাতের সব লাল দিয়ে, হৃদয়ের সব অনুভুতি দিয়ে, অরন্যের সব সবুজ দিয়ে, সমুদ্রের সব গভীরতা দিয়ে তোমাকে জানাই…শুভ নববর্ষ!!
> তোমার জন্য সকাল দুপুর, তোমার জন্য সন্ধ্যা, তোমার জন্য সকল গোলাপ, সব রজনীগন্ধা, তোমার জন্য সব সুর, তোমার জন্য ছন্দ, নতুন বছর বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ… “শুভ নববর্ষ 1430
> দিনগুলি যেমনই হোক, ঠিকই যায় কেটে। তবুও বল কি লাভ, পুরনো স্মৃতি ঘেটে। এ বছর পূর্ন হোক, তোমার সকল আশা। নববর্ষের এটাই আমার প্রত্যাশা।
পহেলা বৈশাখের বিখ্যাত উক্তি
আমরা এই অনুচ্ছেদে পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিখ্যাত কিছু উক্তি আপনাদের জন্য শেয়ার করব। আশা করি পহেলা বৈশাখের বিখ্যাত উক্তি গুলো আপনারা আমার এই আর্টিকেল হতে খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
চৈত্রে দিয়া মাটি বৈশাখে কর পরিপাটি।
– ক্ষণা
চৈত্র মাটি নববর্ষ খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ
চৈত্রে চালিতা, বৈশাখে নালিতা, আষাড়ে……… ভাদ্রে তালের পিঠা। আর্শ্বিনে ওল, কার্তিকে কৈয়ের ঝুল
– ক্ষণা
নববর্ষ খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ পিঠা
চৈত্রেতে থর থর বৈশাখেতে ঝড় পাথর জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে তবে জানবে বর্ষা বটে।
– ক্ষণা
সুপ্রভাত নববর্ষ বর্ষা খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ
চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ। ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা, কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল। পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
– ক্ষণা
মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি, চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।
– ক্ষণা
শুনরে বেটা চাষার পো, বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো। আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি। হলুদ রোলে অপর কালে, সব চেষ্টা যায় বিফলে।
– ক্ষণা
বৈশাখের প্রথম জলে, আশুধান দ্বিগুণ ফলে।
– ক্ষণা
পৌষের কুয়া বৈশাখের ফল। য’দ্দিন কুয়া ত’দ্দিন জল। শনিতে সাত মঙ্গলে/(বুধ) তিন। আর সব দিন দিন
– ক্ষণা
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে ললনারা হেটে যায়
– মাকসুদ
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দিন চলে যায় ঋতুর খেয়ায়, আসে ও যায় বছর মাস কারো কাটে কষ্টে আবার কেউ বা করে সুখেই বাস বদল খেলায় রঙিন আলোয় সুবজ পাতায় লাগে দোল বছর ঘুরে বোশেখ আসে একতারা ও বাজে ঢোল।
– শাহানারা রশিদ
ফিরে ফিরে বারবার সে এসেছে প্রতিটি বারে সেই সে নবীন পহেলা বৈশাখ… শুভকামনায় নববর্ষ রঙিন
– সংগৃহীত
এখন আমার জেগে ওঠার সময় এখন আমার সময় পথে নামার এখন সময় নতুন সূর্যের.. এখন সময় পূর্বপানে চাওয়ার
– সংগৃহীত
শোনা যায় ভোরের আযান আর কোকিলের কলতান আর ফেসবুকে জ্বল-জ্বলন্ত নববর্ষের জয়গান
– সংগৃহীত
কী যে খুঁজি, নিজেই পাই না বুঝে হেলায় ভুলে, খেয়াল খুলে দেয়াল মরি জুঝে। আমার দিন কেটে যায় খুঁজে!
– সংগৃহীত
অপেক্ষা – একটি রাত্রিশেষের অপেক্ষা – একটি সূর্যোদয়ের আকাঙ্ক্ষা – চিরন্তন নতুনত্বের সময় যখন – একটি নববর্ষের
– সংগৃহীত
এক হালি ইলিশের দাম ৪০ হাজার টাকা। গ্রামের মৃৎশিল্পীর পণ্য, বাঁশ ও বেতশিল্পীর কাজ, বিন্নি ধানের খই, সাজ-বাতাসার ব্যবসায়ীদের কী হবে? নিজেকে গ্রাম্য ও রক্ষণশীল পরিচয় দিতে আমার লজ্জা নেই। বৈশাখী মেলায় ঘুরে কেনাকাটার যে আনন্দ ‘হোম ডেলিভারি’তে কি তার চেয়ে বেশি সুখ?
– সৈয়দ আবুল মকসুদ
“আনন্দে আতঙ্কে নিশি নন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহা রবে ঝার সঞ্জীব বাধ উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে ।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর