পহেলা বৈশাখ ২০২৩ নিয়ে উক্তি, কবিতা ও ক্যাপশন

আপনারা এই আর্টিকেলে পহেলা বৈশাখের উক্তি সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই সাথে পহেলা বৈশাখের কবিতা ও ক্যাপশন তুলে ধরে থাকবে। তাই আপনারা যারা পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিখ্যাত উক্তি অনুসন্ধান করে আমার এই অনুষ্ঠানের সূচনা তাদের সকলকে স্বাগতম। বাঙালি অসাম্প্রদায়িক পহেলা বৈশাখ সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে রমনার বটমূলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করবে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিখ্যাত কিছু উক্তি এবং ক্যাপশন ও কবিতা আমার এই অনুচ্ছেদে তুলে ধরা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ হল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। এটি বাংলা সংস্কৃতি ও পরম্পরাগত উৎসব। এই উৎসবটি বিশেষভাবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে উল্লসিত হয়।এই উৎসবে ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি এবং গৃহস্থ সংস্কারের প্রতীক উপস্থাপন করা হয়। মানুষদের বিভিন্ন উপস্থাপনার মধ্যে রয়েছে নববর্ষ উদযাপন, পহেলা বৈশাখ প্রদর্শনী, রঙ্গাবদ্ধ প্রদর্শনী, কার্তিক যাত্রা, খেতের উৎসব ইত্যাদি।এই উৎসবের সঙ্গে সম্পর্কিত হিস্টোরিক্যাল প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। পহেলা বৈশাখ একটি উৎসব হিসাবে উদযাপিত হয় সিলেট এবং চট্টগ্রাম এলাকার হিসাবেও।
পহেলা বৈশাখ উৎসবটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি গৌরবময় অংশ। এই উৎসবটি ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। এই উৎসবের জন্য বাঙালিরা নববর্ষের আগমনকে আনন্দের সাথে উদযাপন করেন।
পহেলা বৈশাখ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষদের নববর্ষ শুভেচ্ছা জানানো, আলোকিত করা এবং উপহার প্রদানের মাধ্যমে সুখ এবং ভালোবাসার বাণী বিস্তার করা। এছাড়াও এই উৎসবে রাষ্ট্রভাবনার ভাবটি উল্লেখযোগ্য। পহেলা বৈশাখে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মাধ্যমে দেশের ঐক্য ও সমবেততা স্থাপন করা হয়।পহেলা বৈশাখ উৎসবে বাঙালিরা বাড়ি পরিষ্কার করে নববর্ষ স্বাগত জানানো এবং একসাথে সন্ধ্যার পর পর উৎসবের প্রতিটি আংটি কার্যকরী অংশ উল্লসিত করা হয়।
পহেলা বৈশাখের বিখ্যাত উক্তি
বাঙালির অসাম্প্রদায়িক পহেলা বৈশাখ সকল ধর্ম এবং মানুষের সাথে সবাই মিলে মিশে পালন করে থাকে। এই দিনটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের একটি নমুনা মাত্র। এই দিনটির কথা উল্লেখ করে গেছেন মুঘল সম্রাট আকবর। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এই দিনটির জন্য প্রশংসা করে গেছেন। দিনটি মূলত বাংলা বছরের প্রথম দিন। দিনটিতে একটি নতুন বছরকে বিদায় জানিয়ে অন্য একটি বছরকে সাদরে গ্রহণ করার দিন। আমরা এই অনুচ্ছেদে পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু উক্তি আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম।
বৈশাখি মেঘ ঢেকেছে আকাশ, পালকের পাখি নীড়ে ফিরে যায় ভাষাহীন এই নির্বাক চোখ আর কতোদিন? নীল অভিমান পুড়ে একা আর কতোটা জীবন? কতোটা জীবন!!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ। মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বৈশাখ হে, মৌনী তাপস, কোন্ অতলের বাণী এমন কোথায় খুঁজে পেলে। তপ্ত ভালের দীপ্তি ঢাকি মন্থর মেঘখানি এল গভীর ছায়া ফেলে॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রুদ্রতপের সিদ্ধি এ কি ওই-যে তোমার বক্ষে দেখি, ওরই লাগি আসন পাতো হোমহুতাশন জ্বেলে॥ নিঠুর, তুমি তাকিয়েছিলে মৃত্যুক্ষুধার মতো তোমার রক্তনয়ন মেলে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভীষণ, তোমার প্রলয়সাধন প্রাণের বাঁধন যত যেন হানবে অবহেলে। হঠাৎ তোমার কণ্ঠে এ যে আশার ভাষা উঠল বেজে, দিলে তরুণ শ্যামল রূপে করুণ সুধা ঢেলে॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান– গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধূসরপাংশুল মাঠ, ধেনুগণ যায় ঊর্ধ্বমুখে, ছুটে চলে চাষি। ত্বরিতে নামায় পাল নদীপথে ত্রস্ত তরী যত তীরপ্রান্তে আসি। পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস রাঙাইছে আঁখি– বিদ্যুৎ-বিদীর্ণ শূন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায় উৎকণ্ঠিত পাখি।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বীণাতন্ত্রে হানো হানো খরতর ঝংকারঝঞ্ঝনা, তোলো উচ্চসুর। হৃদয় নির্দয়ঘাতে ঝর্ঝরিয়া ঝরিয়া পড়ুক প্রবল প্রচুর। ধাও গান, প্রাণভরা ঝড়ের মতন ঊর্ধ্ববেগে অনন্ত আকাশে। উড়ে যাক, দূরে যাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা বিপুল নিশ্বাসে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আনন্দে আতঙ্ক মিশি, ক্রন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহারবে ঝঞ্ঝার মঞ্জীর বাঁধি উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে। ছন্দে ছন্দে পদে পদে অঞ্চলের আবর্ত-আঘাতে উড়ে হোক ক্ষয় ধূলিসম তৃণসম পুরাতন বৎসরের যত নিষ্ফল সঞ্চয়।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মুক্ত করি দিনু দ্বার– আকাশের যত বৃষ্টিঝড় আয় মোর বুকে, শঙ্খের মতন তুলি একটি ফুৎকার হানি দাও হৃদয়ের মুখে। বিজয়গর্জনস্বনে অভ্রভেদ করিয়া উঠুক মঙ্গলনির্ঘোষ, জাগায়ে জাগ্রত চিত্তে মুনিসম উলঙ্গ নির্মল কঠিন সন্তোষ।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চৈত্রে দিয়া মাটি বৈশাখে কর পরিপাটি।
– ক্ষণা
চৈত্র মাটি নববর্ষ খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ
চৈত্রে চালিতা, বৈশাখে নালিতা, আষাড়ে……… ভাদ্রে তালের পিঠা। আর্শ্বিনে ওল, কার্তিকে কৈয়ের ঝুল
– ক্ষণা
নববর্ষ খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ পিঠা
চৈত্রেতে থর থর বৈশাখেতে ঝড় পাথর জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে তবে জানবে বর্ষা বটে।
– ক্ষণা
সুপ্রভাত নববর্ষ বর্ষা খনার বচন বাঙালি বৈশাখ ক্ষণার বচন পহেলা বৈশাখ
চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ। ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা, কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল। পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
– ক্ষণা
মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি, চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।
– ক্ষণা
শুনরে বেটা চাষার পো, বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো। আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি। হলুদ রোলে অপর কালে, সব চেষ্টা যায় বিফলে।
– ক্ষণা
বৈশাখের প্রথম জলে, আশুধান দ্বিগুণ ফলে।
– ক্ষণা
পৌষের কুয়া বৈশাখের ফল। য’দ্দিন কুয়া ত’দ্দিন জল। শনিতে সাত মঙ্গলে/(বুধ) তিন। আর সব দিন দিন
– ক্ষণা
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে ললনারা হেটে যায়
– মাকসুদ
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দিন চলে যায় ঋতুর খেয়ায়, আসে ও যায় বছর মাস কারো কাটে কষ্টে আবার কেউ বা করে সুখেই বাস বদল খেলায় রঙিন আলোয় সুবজ পাতায় লাগে দোল বছর ঘুরে বোশেখ আসে একতারা ও বাজে ঢোল।
– শাহানারা রশিদ
ফিরে ফিরে বারবার সে এসেছে প্রতিটি বারে সেই সে নবীন পহেলা বৈশাখ… শুভকামনায় নববর্ষ রঙিন
– সংগৃহীত
এখন আমার জেগে ওঠার সময় এখন আমার সময় পথে নামার এখন সময় নতুন সূর্যের.. এখন সময় পূর্বপানে চাওয়ার
– সংগৃহীত
শোনা যায় ভোরের আযান আর কোকিলের কলতান আর ফেসবুকে জ্বল-জ্বলন্ত নববর্ষের জয়গান
– সংগৃহীত
কী যে খুঁজি, নিজেই পাই না বুঝে হেলায় ভুলে, খেয়াল খুলে দেয়াল মরি জুঝে। আমার দিন কেটে যায় খুঁজে!
– সংগৃহীত
অপেক্ষা – একটি রাত্রিশেষের অপেক্ষা – একটি সূর্যোদয়ের আকাঙ্ক্ষা – চিরন্তন নতুনত্বের সময় যখন – একটি নববর্ষের
– সংগৃহীত
এক হালি ইলিশের দাম ৪০ হাজার টাকা। গ্রামের মৃৎশিল্পীর পণ্য, বাঁশ ও বেতশিল্পীর কাজ, বিন্নি ধানের খই, সাজ-বাতাসার ব্যবসায়ীদের কী হবে? নিজেকে গ্রাম্য ও রক্ষণশীল পরিচয় দিতে আমার লজ্জা নেই। বৈশাখী মেলায় ঘুরে কেনাকাটার যে আনন্দ ‘হোম ডেলিভারি’তে কি তার চেয়ে বেশি সুখ?
– সৈয়দ আবুল মকসুদ
“আনন্দে আতঙ্কে নিশি নন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহা রবে ঝার সঞ্জীব বাধ উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে ।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পহেলা বৈশাখের কবিতা
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদের সাথে মিশে আছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিনের মধ্য দিয়ে তিনটি পালন করা হয়। আমরা পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু কবিতা আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। আপনারা যারা পহেলা বৈশাখের কবিতা অনুসন্ধান করে আমার এই অনুচ্ছেদে এসেছেন তারা আমার এই কোন আর্টিকেলটি পড়লেই সকল ধরনের পহেলা বৈশাখের কবিতা সংগ্রহ করতে পারবেন।
এসো হে বৈশাখ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এসো এসো এসো হে বৈশাখ
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষের দাও উড়ায়ে,,
বৎসরের আবর্জনা দুর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রু বাষ্প সুদূরে মিলাক !!””
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,,,,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্মটিজাল যাক দূরে যাক !!””
পহেলা বৈশাখের কবিতা ২
বৈশাখ এলো ক্ষিপ্ত বেগে
সিঁদুর মেঘের গায়,,
বৈশাখ এলো উগ্রতা নিয়ে
কৃসনো মেঘের নায় !!””
বৈশাখ এলো কাল বৈশাখীর
হাওয়ায়-হাওয়ায় ধেয়ে,,
বৈশাখ এলো বাউলের বেশে
বৈশাখী গান গেয়ে !!””
উচ্ছ্বাসের এই দিনে নবীন
ছড়াও প্রেমের বার্তা ,,
তোমরা জাতির ধরবে হাল
আর হবে দেশের কর্তা !!””
শোষণ যুলুম রুখে দাড়াও
তাড়াও দুখের দিন ,,
সব বেদনা ভুলে বাজাও
হেথায় সুখের বীণ !!””
এদেশ আমার জন্মভূমি
এদেশ আমার প্রাণ ,,
কাঁদলে কেউ দুখে
পড়ে হৃদয় সুতোয় টান !!””
পুরোনো সব দুঃখ ভুলে
ফিরে এলো প্রহেলা বৈশাখ,,
সব ভেদাবেদ ভুলে বাজাও
ন্যায় শাসনের হর্ষ !!””
বৈশাখের মেলাতে
ঘুরতে ফিরতে
উঠতে বসতে
ধরতে ছাড়তে ,,,,
দেখি কত যুবতী
হাসছে গাইছে
কেনাকাটা করছে
খাচ্ছে দাচ্ছে
কোমড় দুলিয়ে হাটছে !!””
লাল পাড়ে সাদা শাড়ি
ছেলেদের নজর কাড়ি
এ যেন রসের হাড়ি
নয় কোন বাড়াবাড়ি !!””
ছেলেরাও কম না
টিএসসি রমনা
সারাদিন কাটিয়ে
যায় মেয়ে পটিয়ে !!””
হৃদয়ের ঘুমন্ত ভালোবাসা জাগরিত করে;
এসো হে নবীন এসো হে প্রবীন একই মঞ্চ ‘পরে।
সব জড়তা আর দৈন্যতা ঝেড়ে ফেলে;
প্রকৃত ভালোবাসার প্রশান্ত আগুনে জ্বলে।
হিংসার অভিশপ্ত দাবানল নগ্ন পায়ে দলে;
ফুলের ভালোবাসার ডালি দাও তুলে।
মার্তৃভূমির বেদনাতুর লাল-সবুজের বুকে,
দেশকে রাখব মোরা ভালোবাসায়, চোখে চোখে
ধর্ম-বর্ণ দল-মত নির্বিশেষে;
একই সাথে থাকি সবে পরম ভালোবেসে
এসো ভুলে যাই স্বার্থপরতার যত ছলনা;
এই হোক নববর্ষের নবচেতনার উন্মাদনা।
পহেলা বৈশাখের ক্যাপশন
আমরা এই অনুচ্ছেদে পহেলা বৈশাখের কিছু ক্যাপশন আপনাদের জন্য তুলে ধরব। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আপনি যদি কোথাও ঘুরতে যান এবং একটি ছবি তুলেন তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার সময় সেই ছবিটি ব্যবহার করতে পারেন। এবং ছবিটির সাথে একটি ক্যাপশন জুড়ে দিতে পারেন। আশা করি পহেলা বৈশাখের ক্যাপশন গুলো আপনাদের অনেক পছন্দ হবে।
নীল আকাশের মেঘের ভেলায়, ঘাসের উপর শিশির কনায়, প্রজাপতির রঙ্গীন ডানায়, ফালগুনের ফুলের মেলায়, একটা কথা তোমাকে জানাতে চাই শুভ ১ লা বৈশাখ ।
আম পাতা জোড়া জোড়া, নতুন সব দিচ্ছে সাড়া , ভাল থেকো , সুখে থেকো , আর আমার কথাটি মনে রেখ।”শুভ নববর্ষ”
বছর শেষে ঝরা পাতা বলল উড়ে এসে, একটি বছর পেরিয়ে গেল হাওয়ার সাথে ভেসে। নতুন বছর এসেছে, তাকে যত্ন করে রেখো, স্বপ্ন গুলো সত্যি করে খুব ভাল থেকো। *শুভ নববর্ষ*
নিশি যখন ভোর হবে। সুখ তারা নিভে যাবে, আসবে একটা নতুন দিন, দুঃখ হতাশা যাও ভুলে, হাসি আনন্দ নিও তুলে, বছরটা হোক অমলিন। *শুভ নববর্ষ*
বিদায় নিল আজ পুরনো বছরের সূর্য। আসবে নতুন সকাল, নতুন দিন, নতুন স্বপ্ন, নতুন আসা। আর নতুন হোক আজকের ভালবাসা। “শুভ নববর্ষ” ।
যেটুকু ভুল ছিল সুধরে নিব, না পাওয়ার কষ্ট টুকু ভুলে যাব, সবারে বাসবো ভাল, এ প্রত্যয়ে শুরু হোক নতুন বছর। শুভ নববর্ষ
“নতুন পোশাক নতুন সাজ। নতুন বছর শুরু আজ। মিষ্টি মন, মিষ্টি হাসি, শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি”। *শুভ নববর্ষ*।
তুমি সুন্দর, সুন্দর তোমার মন, তার চেয়ে সুন্দর হোক তোমার জীবন,পাশে থাকুক তোমার সকল আপনজন। “শুভ নববর্ষ ”
জাগুক হৃদয়েতে নব আনন্দ, সঙ্গীতে দাও নতুন ছ্ন্দ, দুর করে দিয়ে সকল দুঃখ, আস হে নতুন আস। “শুভ নববর্ষ”
তোমার জন্য সকাল-দুপুর, তোমার জন্য সন্ধা, তোমার জন্য সকল গোলাপ এবং রজনীগন্ধা। তোমার জন্য সব সুর তোমার জন্য ছন্দ। নতুন বছর বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। শুভ নববর্ষ।