পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করে

বাড়িতে বসে কিভাবে প্রেগন্যান্ট টেস্ট করবেন সে বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি বাড়িতে বসে প্রেগন্যান্ট টেস্ট করার বিষয়ে জানার জন্য এই অনুচ্ছেদে এসে থাকেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের এই অনুচ্ছেদ হতে খুব সহজেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
প্রেগন্যান্ট টেস্ট করা খুব সহজ একটি পদ্ধতি। প্রেগন্যান্ট সবার জন্য খুব আনন্দদায়ক একটি ব্যাপার হলেও অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং কলঙ্কময় একটি ঘটনা। আমি এই কথাগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলতেছি। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগন্যান্ট থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রটেকশন ব্যবহার করা জরুরি । এতকিছুর পরেও আপনি যদি প্রেগন্যান্ট হওয়ার কিছু লক্ষণ উপসর্গ দেখতে পারেন তাহলে নিম্নোক্ত উপায়ে প্রেগনেন্ট টেস্ট করে নিতে পারবেন।
সাধারণত কোন মেয়ের নিয়মিত মাসিক হওয়া অবস্থায় হঠাৎ করে মাসিক বন্ধ হয় তাহলে সে প্রেগন্যান্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে গত মাসে মেয়েটি তার পার্টনারের সাথে সহবাস করেছিল কিনা। আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা একটি মূলত নির্ভর করছে প্রথম মাসে মাসিক হলো কি হলো না। যদি মাসিক না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে ৩০% সম্ভাবনা আছে আপনার প্রেগন্যান্ট হওয়ার।
কিন্তু মাসিক একমাস বন্ধ হলেই যে আপনি প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছেন এমন কোন কথা বলা যাবে না। নানা কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে।
তবে প্রেগন্যান্ট টেস্ট করার সবচেয়ে কে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল কীট পদ্ধতি। বাজারে বেশ কিছু কোম্পানির ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে প্রেগনেন্ট টেস্টের কিট পাওয়া যায়। সেই গিট গুলো দিয়ে আপনি বাড়িতে বসে শতভাগ নিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে প্রেগনেন্ট টেস্ট করে নিতে পারবেন।
কিভাবে কিট পদ্ধতিতে প্রেগন্যান্ট টেস্ট করবেন?
একটি নারী যখন প্রেগন্যান্ট হয় তখন তার শরীরে বিটা এইচ সিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়। এই হরমোনটি মূলত প্রসাবের সাথে শরীরের বাইরে নির্গমন হয়। তাই প্রেগন্যান্ট অবস্থায় একটি মহিলার পোশাক টেস্ট করার মাধ্যমেই সাধারণত তার প্রেগন্যান্ট এর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়। আর এই পদ্ধতিতে কোন অন্তঃসত্তা নারীর প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পদ্ধতিকে প্রেগনেন্সি কিট পদ্ধতি বলা হয়।
যাদের মাসিক নিয়মিত, মাসিক হওয়ার তারিখ পেরিয়ে যায় এক সপ্তাহ পর এই টেস্ট করবেন। তাহলে সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য পেয়ে যাবেন।
এই পদ্ধতিতে প্রেগন্যান্ট টেস্ট করার জন্য আপনাকে সকালে উঠে প্রথম যে প্রসব করবেন সেটি কোন পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। তারপর প্রেগন্যান্ট কিট সেই প্রসাবের মধ্যে কিছুক্ষণ ঢুকে রাখতে হবে। তারপর নিম্নোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি প্রেগন্যান্ট কি না?

রিপোর্ট পর্যালোচনা কীভাবে করবেন
আপনি বাজার থেকে যে কোন কোম্পানির একটি প্রেগনেন্সি কিট কিনে আনবেন। আপনি এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে প্রাধান্য দেবেন। তারপর প্রেগনেন্সি উপর কিছু রেখা আছে যেগুলো আপনি পরীক্ষার সময় বুঝতে পারবেন। এবং আমার নিচের উল্লেখিত তথ্যগুলো প্রেগনেন্সি কিট এর সাথে পর্যালোচনা করে দেখবেন।
- স্ট্রিপে একটি রঙিন রেখা বা লাইন এলে বুঝবেন প্রেগন্যান্সি নেগেটিভ, অন্তঃসত্ত্বা নন।
- স্ট্রিপে পাশাপাশি দুটি রঙিন রেখা বা লাইন দেখা গেলে পজিটিভ, এমনকি হালকা রেখা হলেও পজিটিভ ধরা যাবে। মানে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
- যদি কোনো রঙিন রেখা না দেখা যায়, তবে পরীক্ষা বাতিল বলে ধরে নিতে হবে এবং আবার আরেকটি স্ট্রিপ দিয়ে করতে হবে।
- আধা ঘণ্টা পর নেগেটিভ ফলাফল পজিটিভ হলেও রিপোর্টটি অগ্রহণযোগ্য।
নেগেটিভ কিন্তু মাসিক হচ্ছে না?
বাড়িতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ পেয়েছেন কিন্তু এরপরও মাসিক হচ্ছে না, তাহলে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে আবার পরীক্ষা করবেন। এবারও নেগেটিভ হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। প্রেগন্যান্সি ছাড়া অন্যান্য কারণেও মাসিক বন্ধ হতে পারে।