Uncategorized

প্রিপেইড মিটারে টাকা ভরার নিয়ম

আপনারা সকলে জানেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রিপেইড করে দিয়েছে। তাই আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা প্রিপেইড মিটারে টাকা ভরার নিয়ম আপনাদের জানিয়ে দেবো। অর্থাৎ আপনি কিভাবে প্রিপেইড মিটারে রিসার্চ করবেন সে বিষয়ে আমি খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেবো। আশা করি আমার এই অনুচ্ছেদ আপনি ভালো করে পড়লে কিভাবে প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ করা যায় সে বিষয়ে জানতে পারবেন। এছাড়াও আমি প্রিপেইড মিটারে কিছু প্রয়োজনে কোড আপনাদের জন্য শেয়ার করব। তো আসুন পুরো অনুচ্ছেদটি জুড়ে আমার সাথে থাকলে আপনি প্রিপেইড মিটার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সম্ভব করতে পারবেন।

প্রিপেইড মিটারে টাকা ভাড়ার নিয়ম

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড যেমন নেস্কো এবং ডেসকো এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ কিছু কিছু এলাকায় প্রিপেইড মিটার চালু করেছে। অর্থাৎ আপনাকে সর্ব প্রথম টাকা মিটারে রিসার্চ করতে হবে এবং আপনি সেই টাকা ব্যবহার করার পর আপনার অটোমেটিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে । অর্থাৎ মোবাইলের রিচার্জ এর মতই বিদ্যুৎ রিচার্জ করে আপনাকে চালাতে হবে। কিন্তু, এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে যেগুলো আপনার জানা দরকার।

প্রিপেইড মিটার সম্পর্কে কিছু তথ্য

আমরা প্রিপেইড মিটার সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।

  • প্রিপেইড মিটারের খরচ অন্যান্য মিটার থেকে একই হয়ে থাকে।
  • প্রিপেইড মিটারের টাকা ফুরিয়ে গেলে সকাল 11 টার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না, অপরদিকে বিকেল পাঁচটার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না।
  • প্রিপেইড মিটারে ২০০ টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যবহার করা যায়।
  • প্রিপেইড মিটারের শুক্র ও শনিবার টাকা ফুরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না।

প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার নিয়ম

প্রিপেড মিটার রিচার্জ করতে চাইলে আপনি আপনার যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি নগদ কিংবা বিকাশের মাধ্যমে প্রিপেইড মিটারে রিসার্চ করতে পারবেন। ধরুন আপনি বিকাশ হাতে প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করবেন সে ক্ষেত্রে নিম্ন পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবে।

Related Articles
  • প্রথমে আপনি বিকাশ অ্যাপসে প্রবেশ করুন।
  • বিল পেমেন্ট থেকে আপনি ইলেকট্রিসিটিতে প্রবেশ করুন।
  • আপনি নেস্কো কিংবা ডেসকো অথবা পল্লী বিদ্যুৎ আপনার সংযোগটি যে লাইনের আওতায় সেটি নির্বাচন করুন।
  • এরপর আপনার মিটারের নম্বর প্রবেশ করুন, যেটিকে কনজ্যুমার নাম্বার বলে সেটি হল আপনার মিটার নম্বর।
  • এবং আপনার একটি কন্টাক্ট নাম্বার দেন যে কন্ট্রাক্ট নাম্বারে একটি টোকেন যাবে।
  • সব প্রসেস ঠিক করলে পরবর্তী ধাপে মিটারের মালিকের নাম সহ বিস্তারিত তথ্য দেখা যাবে।
  • আপনি পূর্বেই রিসার্চে পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন তাই সবগুলো ঠিক থাকলে পাসওয়ার্ড দিয়ে সাবমিট করুন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অটোমেটিক আপনার মিটার রিচার্জ হয়ে যাবে কিন্তু যদি আপনার মিটার রিচার্জ না হয় তাহলে আপনার কন্টাক্ট নাম্বারে একটি টোকের নম্বর গেছে সেটি আপনার মিটারে প্রবেশ করান। এবং সবুজ বাটন চাপলেই আপনার রিসার্চ সম্পূর্ণ হবে।

প্রিপেইড মিটারের কিছু কোড

আপনার সকলে জানেন প্রিপেইড মিটার সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের ফলে এই মিটারে কিছু কোটের মাধ্যমে সকল তথ্য জানা যায়। যেমন আপনি কত টাকা রিচার্জ করলেন কিংবা আপনার ব্যালেন্স কত আছে ইত্যাদি সকল তথ্য জানার জন্য কিছু কোড আছে। সেই কোডগুলো এখন আপনাদের জানিয়ে দেবো।

ডায়াল কোড যা হবে / যা জানা যাবে
৮০০ এ যাবৎ মোট ব্যবহৃত ইউনিট
801 বর্তমান অবশিষ্ট ব্যালেন্স (টাকা)
802 তারিখ
803 সময়
806 মিটার বিচ্ছিন্নের কারণ
808 বর্তমানে চলমান লোড (কিঃওঃ)
810 এমার্জেন্সী ব্যালেন্স পরিমান (ধারকৃত)
814 চলতি মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার পরিমান (ইউনিট)
815 সর্বশেষ রিচার্জ এর তারিখ
816 সর্বশেষ রিচার্জ সময়
817 সর্বশেষ রিচার্জ পরিমান (টাকা)
830 সর্বশেষ রিচার্জ টোকেন
869 সর্ব্বোচ্চ অনুমোদিত লোড (কিঃওঃ)
886 বর্তমান চলমান রেট (টাকা)
887 বর্তমান চলমান স্পেপ ট্যারিফ (টাকা)
889 বর্তমান টোকেনের সিকোয়েন্স নম্বর
922 চলতি মাসে ব্যবহৃত টাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *