উৎসব

বাংলা নববর্ষের কবিতা সমগ্র

আমরা বাংলা নববর্ষের কিছু নির্বাচিত কবিতা এই অনুচ্ছেদে তুলে ধরব। আপনারা যারা বাংলা নববর্ষের কবিতা অনুসন্ধান করে আমার এই অনুচ্ছেদে এসেছেন তাদের সকলকে স্বাগতম। পৃথিবীর বিখ্যাত কবিদের নববর্ষ নিয়ে বিখ্যাত কিছু কবিতা আপনাদের জন্য এই অনুচ্ছেদে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলা নববর্ষে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তথা জীবনানন্দ দাশের মতো প্রখ্যাত কবি সাহিত্যিকগণ যে সকল কবিতার রচনা করে গেছেন সে সকল কবিতার সমাধান হচ্ছে আমার এই অনুচ্ছেদে। আশা করি আমার এই অনুচ্ছেদটি আপনাদের পছন্দ হবে এবং আমার এই অনুচ্ছেদ হতে আপনারা সহজেই বাংলা নববর্ষের কবিতা গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।

বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ হল বাংলাদেশ, ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের সর্বপ্রথম দিন, যা ১ বৈশাখ তারিখে পালন করা হয়। এই দিনটি বাংলা সনাতন সংস্কৃতির একটি অংশ এবং একটি উৎসব যা পূর্ববর্তী বাংলা সম্প্রদায়ে প্রচলিত ছিল।

এসো হে বৈশাখ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এসো এসো এসো হে বৈশাখ
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষের দাও উড়ায়ে,,
বৎসরের আবর্জনা দুর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রু বাষ্প সুদূরে মিলাক !!””

Related Articles

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,,,,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্মটিজাল যাক দূরে যাক !!””

বৈশাখ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল,
তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল
কারে দাও ডাক
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!

ছায়ামূর্তি যত অনুচর
দগ্ধতাম্র দিগন্তের কোন্ ছিদ্র হতে ছুটে আসে!
কী ভীষ্ম অদৃশ্য নৃত্যে মাতি উঠে মধ্যাহ্ন-আকাশে
নিঃশব্দ প্রখর
ছায়ামূর্তি তব অনুচর!

মত্তশ্রমে শ্বসিছে হুতাশ।
রহি রহি দহি দহি উগ্রবেগে উঠিছে ঘুরিয়া,
আবর্তিয়া তৃণপর্ণ, ঘূর্ণচ্ছন্দে শূন্যে আলোড়িয়া
চূর্ণরেণুরাশ
মত্তশ্রমে শ্বসিছে হুতাশ।

দীপ্তচক্ষু হে শীর্ণ সন্ন্যাসী,

পদ্মাসনে বস আসি রক্তনেত্র তুলিয়া ললাটে,
শুষ্কজল নদীতীরে শস্যশূন্য তৃষাদীর্ণ মাঠে
উদাসী প্রবাসী—
দীপ্তচক্ষু হে শীর্ণ সন্ন্যাসী!

জ্বলিতেছে সম্মুখে তোমার
লোলুপ চিতাগ্নিশিখা, লেহি লেহি বিরাট অম্বর,
নিখিলের পরিত্যক্ত মৃতস্তূপ বিগত বৎসর
করি ভস্মসার।
চিতা জ্বলে সম্মুখে তোমার।

পহেলা বৈশাখের রোমান্টিক কবিতা

এই উৎসবে মানুষরা নতুন শুরু, নতুন উত্সাহ এবং উপহার দেয়ার প্রস্তুতি করে। বাংলা নববর্ষে পুষ্পবাণ ও সাজে ঢেকে ঘর ঘরে উপস্থিত হয়। মেলা, সংস্কৃতিক প্রদর্শনী, সঙ্গীত ও নাচ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনেক মানুষ এই দিনটি স্পেশাল খাবার পরিবেশন করে।সাধারণত এই উৎসবটি বাংলা সনাতন পঞ্জিকার উপর ভিত্তি করে হয় এবং এটি রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রধান উৎসবগুলির মধ্যে একটি।

বর্ষবরণ

– এ কে দাস মৃদুল – হৃদয়ের অন্তরীক্ষে নৃত্যময়ী

বৈশাখ
এলো রে
ঝড়ো হাওয়া বয়ে
বৃক্ষের ডালে নব পল্লবে,
ঘরে ঘরে আনন্দ ধারা নিয়ে;
পুরাতন ধুয়ে মুছে বৈশাখ এলো রে।

জীর্ণতা
পিছু ফেলে
যা ছিলো অনাদরে
নতুন দিনের তরুণ আলোয়,
হাটে মাঠে সার্বজনীন বরেণ্য উৎসবে;
পান্তা ইলিশের সুবাসে বৈশাখ এলো রে।

আগামীর
চলার পথে
সুনিপুণ স্বপ্ন বুকে
হাজার বছরের ঐতিহ্য লালনে,
বাঙালির ঘরে ঘরে শান্তির বারতায়;
হালখাতার নববর্ষ বরণের বৈশাখ এলো রে।

আনন্দ
মেলার মিছিলে
বাঁশরীয়ার বাঁশির সুরে
মানব মানবীর নব উল্লাসে,
ঢোল ডুগডুগির বাউল সঙ্গীতের নৃত্যে;
মনুষ্যত্বের মিলন মেলার বৈশাখ এলো রে।

জীবনানন্দ দাশের নববর্ষের কবিতা

বাংলা নববর্ষের উৎস প্রাচীন হলেও এখনও এই উৎসবটি সংস্কৃতি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রচলিত আছে। এই দিনটি পূর্ববর্তী বাংলা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত বিভিন্ন উৎসবের সংশ্লিষ্ট হতে পারে, যেমন বাসন্ত উৎসব, ছৈল উৎসব এবং গ্রীষ্ম উৎসব।

বর্ষ-আবাহন

ওই যে পূর্ব তোরণ-আগে
দীপ্ত নীলে, শুভ্র রাগে
প্রভাত রবি উঠলো জেগে
দিব্য পরশ পেয়ে,
নাই গগণে মেঘের ছায়া
যেন স্বচ্ছ স্বর্গকায়া
ভুবন ভরা মুক্ত মায়া
মুগ্ধ-হৃদয় চেয়ে।

অতীত নিশি গেছে চ’লে
চিরবিদায় বার্তা ব’লে
কোন আঁধারের গভীর তলে
রেখে স্মৃতিলেখা,
এসো-এসো ওগো নবীন
চ’লে গেছে জীর্ণ মলিন-
আজকে তুমি মৃত্যুবিহীন
মুক্ত সীমারেখা।

নজরুলের নববর্ষের কবিতা

বাংলা নববর্ষ পরিবেশন করা খাবার বিশেষত মিষ্টি ও পিঠা থাকে, যেমন পায়েস, রসমালাই, সন্দেশ এবং বিভিন্ন প্রকারের পিঠা। উপহারের জন্য মানুষরা একে অপরকে শুভেচ্ছা দিয়ে এবং বিভিন্ন উপহার দেয়, যেমন ফুল, ফল এবং নগদ অর্থ।বাংলা নববর্ষের উদযাপনের জন্য একটি প্রসিদ্ধ উৎসব হল “পহেলা বৈশাখ উৎসব”।

প্রলয়োল্লাস
কাজী নজরুল ইসলাম

তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!!
ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল্-বোশেখির ঝড়।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *