বাংলা নববর্ষের ক্যাপশন ও উক্তি ২০২৩

আপনি কি পহেলা বৈশাখ ২০২৩ ক্যাপশন – বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ ক্যাপশন খুজতেছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই নিবন্ধে আমরা বাংলা নববর্ষ ২০২৩ ক্যাপশন ও উক্তি এবং নববর্ষ ১৪৩০ ছন্দ আলোচনা করতে যাচ্ছি। আমরা আপনাদের জন্য শুভ নববর্ষের ক্যাপশন খুব সুন্দর করে তৈরি করেছি। আমরা আশা করছি আমাদের শুভ নববর্ষের ক্যাপশন গুলো আপনাদের পছন্দ হবে। আমাদের ওয়েবসাইট হতে বাংলা নববর্ষের ক্যাপশন ও উক্তি গুলো সংগ্রহ করে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন। সেইসাথে বাংলা নববর্ষের ক্যাপশন ও উক্তি গুলো দিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজন বন্ধুবান্ধবকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাতে পারবেন। তাই দেরী না করে চলে যান মূল পোস্টে।
শুভ নববর্ষের ক্যাপশন ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বাংলা নববর্ষের কোন ছবি শেয়ার করার সময় আপনি কিছু ক্যাপশন ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য অনেককে অনলাইনে বাংলা নববর্ষের ক্যাপশন অনুসন্ধান করে থাকেন। আমরা সে সকল পাঠকের উদ্দেশ্যে আজকের এই অনুচ্ছেদে বাংলা নববর্ষের ক্যাপশন এবং উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে আশা করি আপনাদের আমার এই অনুচ্ছেদটি ভালো লাগবে।
- একটু আলো, একটু আধার বাতাসগুলো নদীর বুকে দিচ্ছে সাতার কিছু দুঃখ, কিছু সুখ সবচেয়ে সুন্দর এই বাংলার মুখ! বাংলা বর্ষ এর পদার্পনে এস শানিত হই নবপ্রাণে
- পান্তা ইলিশ আর ভরতা বাজি বাঙ্গালীর প্রাণ… নতুন বছর সবাই গাইবো বৈশাখের গান.. এসো হে বৈশাখ এসো এসো… ^~^~শুভ নভবর্ষ~^~^
- নতুন সূর্য, নতুন প্রান। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন উষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। সবাইকে নববর্ষের শুভেচছা।
- ইচ্ছে গুলো উড়ে বেরাক পাখনা দুটি মেলে, দিনগুলি তোর যাকনা কেটে এমনি হেসে খেলে। অপূর্ন না থাকে যেন তোর কোন সখ, এই কামনার সাথে জানাই “শুভ পহেলা বৈশাখ”।
- তিনজন লোক তোমার ফোন নাম্বার চাইছে। আমি দিইনি, তবে তোমার বাড়ির ঠিকানা দিয়েছি।। তারা এই নববর্ষে তোমার বাড়ি আসবে।।তারা তিনজন হলো – সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি!!
অগ্রিম শুভ নববর্ষ! - নিশি অবসান প্রায় ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত আমি আজি ধূলি তলে জীর্ণ জীবন করিলাম নত | বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রত ক্ষমা কর আজিকের মত পুরাতন বছর সাথে পুরাতন অপরাধ যত হর্দম হৈ হৈ, বৈ এলো ঐ, কলার পাতায় ইলিশ পান্তা | ঈশান কোনে মেঘের বার্তা | শুভ নববর্ষ
- পানতা ইলিশ আর ভরতা বাঙ্গালীর প্রাণ… নতুন বছর সবাই গাইবো বৈশাখের গান.. এসো হে বৈশাখ এসো এসো… শুভ নববর্ষ
- পাখির ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম বন্ধু তোমরা উড়ে দেখো পাবে সুখের ঘ্রাণ । পুরনো সব কষ্ট করে ফেলো নষ্ট! নতুন বছরের নতুন যাত্রা হয় যেনো সুখ আর আনন্দময় ! এই কামনায় তোমাদের জানাই (“শুভ_নববর্ষ_
নববর্ষ হল বাংলা ক্যালেন্ডারে প্রথম দিন। এটি সাধারণত বৈশাখ মাসের ১ তারিখে উদযাপিত হয়। এটি বাঙালি সম্প্রদায়ে বহুল উল্লেখ্য উৎসব এবং সমাজের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি উত্সব। নববর্ষের দিন সাধারণত উদ্যাপন করা হয় হাসি-খুশি ও আনন্দের সাথে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচি, পার্বণ ও রান্নার ব্যবস্থা নেওয়া হয় এই দিনে। এছাড়াও নববর্ষে প্রথম বছরের স্নেহপূর্ণ শুভেচ্ছা ও উপহার দেওয়া হয়।

নববর্ষ বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, ওড়িশা এবং মিয়ানমারে উদযাপিত হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় উত্সব হিসেবে স্বীকৃত এবং এটি একটি সরকারি ছুটি। এছাড়াও নববর্ষ হল বাঙালি সম্প্রদায়ে বহুল উল্লেখ্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রচনাসমূহ, নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী উদ্যোগ নেওয়া হয়।
নববর্ষের দিন সাধারণত একটি নবরত্ন পরিধান করে বস্ত্র পরিধান করা হয়। নারীরা শাড়ি পরিধান করে নববর্ষে উদযাপিত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে থাকেন। বাংলাদেশে সাধারণত পহেলা বৈশাখ হল মাসের সবচেয়ে বড় উৎসব এবং এই দিনটি লাখ লাখ মানুষ উদ্যাপন করেন সাধারণ জীবনের কঠিন পালা থেকে থাকার জন্য।
বাংলা নববর্ষের উক্তি
বাংলা নববর্ষ অপমর জনসাধারণের প্রাণের উৎসব। বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির রক্তের সাথে মিশে আছে। তাই পৃথিবীতে যে সকল বাংলা ভাষাভাষী সাহিত্যিক ছিলেন তারা সকলেই বাংলা নববর্ষকে ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে বরণ করে নিয়েছিলেন। তাই তারা পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু উক্তি প্রদান করে গেছেন বাংলা নববর্ষ নিয়ে। আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা বাংলা নববর্ষের বিখ্যাত কিছু উক্তি দেখে নিব।
বৈশাখি মেঘ ঢেকেছে আকাশ, পালকের পাখি নীড়ে ফিরে যায় ভাষাহীন এই নির্বাক চোখ আর কতোদিন? নীল অভিমান পুড়ে একা আর কতোটা জীবন? কতোটা জীবন!!
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ। মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বৈশাখ হে, মৌনী তাপস, কোন্ অতলের বাণী এমন কোথায় খুঁজে পেলে। তপ্ত ভালের দীপ্তি ঢাকি মন্থর মেঘখানি এল গভীর ছায়া ফেলে॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রুদ্রতপের সিদ্ধি এ কি ওই-যে তোমার বক্ষে দেখি, ওরই লাগি আসন পাতো হোমহুতাশন জ্বেলে॥ নিঠুর, তুমি তাকিয়েছিলে মৃত্যুক্ষুধার মতো তোমার রক্তনয়ন মেলে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভীষণ, তোমার প্রলয়সাধন প্রাণের বাঁধন যত যেন হানবে অবহেলে। হঠাৎ তোমার কণ্ঠে এ যে আশার ভাষা উঠল বেজে, দিলে তরুণ শ্যামল রূপে করুণ সুধা ঢেলে॥
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান– গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধূসরপাংশুল মাঠ, ধেনুগণ যায় ঊর্ধ্বমুখে, ছুটে চলে চাষি। ত্বরিতে নামায় পাল নদীপথে ত্রস্ত তরী যত তীরপ্রান্তে আসি। পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস রাঙাইছে আঁখি– বিদ্যুৎ-বিদীর্ণ শূন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায় উৎকণ্ঠিত পাখি।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বীণাতন্ত্রে হানো হানো খরতর ঝংকারঝঞ্ঝনা, তোলো উচ্চসুর। হৃদয় নির্দয়ঘাতে ঝর্ঝরিয়া ঝরিয়া পড়ুক প্রবল প্রচুর। ধাও গান, প্রাণভরা ঝড়ের মতন ঊর্ধ্ববেগে অনন্ত আকাশে। উড়ে যাক, দূরে যাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা বিপুল নিশ্বাসে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর