টিপস

বাচ্চা/শিশুর কান্না থামানোর উপায় ও দোয়া

সুপ্রিয় পাঠক ,আসলামু আলাইকুম। আশা করি সকলে ভাল আছেন। শিশুর কান্না বন্ধ করার দোয়া ও উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।শিশুরা বিনা কারণে হঠাৎ দিনে বা রাতে কান্না করে। কান্না করতে থাকলে সহজেই কান্না থামেনা। পিতা মাতা অনেক খেলনা পাতি অনেক আদর যত্ন করা শত বাচ্চাদের কান্না কোনভাবেই থামাতে পারে না। বাচ্চারা যখন একনাগারে কান্না করতে থাকে তখন পিতা-মাতার চিন্তার সীমা থাকে না। শিশুর কান্না পিতা-মাতার জন্য প্রচুর কষ্টদায়ক। তারা সন্তানের কান্না থামানোর জন্য নানা খাওয়া দাওয়া খেলনা গান নানা রকমের বাজনা বাজায়। কান্না থামানোর জন্য পিতা-মাতারা যেমন দুশ্চিন্তা করে তেমনি নানা জনের পরামর্শ অনুযায়ী বাচ্চা কান্না থামানোর জন্য উপায় খুঁজে। কান্নার ফলে সংখ্যাটি বাবা-মা ভাই-বোন দাদা-দাদী এবং প্রতিবেশী সবার কাছে বিরক্ত মনে হয়।

বাচ্চার কান্নার জন্য পিতা-মাতাদের নানা রকমের অপবাদ দেওয়া হয়। পিতা মাতারা সন্তানের কান্না থামানোর জন্য হুজুর বা কবিরাজের গিয়ে ঝাড় ফোক তাবিজ তেল পড়া পানি পড়া কত কি না করে। বাচায় এভাবে কান্না করতে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরিবারের সবাই বাঁচার জন্য চিন্তা করে। কোরআন থেকে কিছু দোয়া সূরা আল ইমরানের ১৮নম্বর আয়াত ও আরো কিছু আয়াত দেওয়া আছে নিচের অনুচ্ছেদে। এসব আয়াত শুদ্ধ করে পড়ে শিশু শরীরে ফু দিলে আলাপ পাকের রহমতে শিশুটির কান্না থেমে যেতে পারে। কোরআন থেকে এসব আয়াত সূরা নিয়মিত বাচ্চাদের জন্য পড়া হলে বাচ্চারা স্বাভাবিক ও সুস্থ হয়ে ওঠে।

শিশুর কান্না বন্ধ করার জন্য দোয়া

শিশুদের কান্না যেন পরিবারের অস্থিরতা পরিবারের অশান্তি পরিবারের অসুখের দিন। তাই শিশুর কান্না বন্ধ করার জন্য আমরা কোরআন থেকে কিছু দোয়া পাঠ করে  শিশু শরীরে ফু দিলে শিশুর কান্না থেমে যাবে। কোরআন শরীফ থেকে শিশুর কান্না থামানোর জন্য এসব আয়াত ও দোয়া করতে আপনাকে পাক পবিত্র হতে হবে। আয়াতটি পড়ার আগে তওবা করতে হবে এবং সুন্দর করে দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। দোয়ার আয়াত পাঠ করে শিশু শরীরে তিনবার ফু দিতে হবে।

শিশুর কান্না বন্ধ করার জন্য দোয়া
শিশুর কান্না বন্ধ করার জন্য দোয়া

শিশুর কান্না থামানোর জন্য কোরআন শরীফের আয়াত ও দোয়া নিয়মিত 21 বার বা তারও বেশি বার করে পানিতে বা তৈলে তিনটি ফু দিতে হবে । এসব তেল বা পানি শিশু শরীরে মেখে দিতে বা পান করতে হবে প্রতিনিয়ত। তাহলে হয়তো শিশুর কান্না থেমে যাবে। এই নিবন্ধে শিশুর কান্না বন্ধ করার জন্য কিছু দোয়া শেয়ার করা হলো।

  • সূরা ইখলাছ ১৫ বার পাঠ করে বাচ্চার বাড়ির দিকে ফু দিলে কান্না ভালো হয় ।

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ – اللَّهُ الصَّمَدُ – لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ – وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ : কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’ (মাখরাজসহ বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেয়া জরুরি )
অর্থ : (হে রাসুল! আপনি) বলুন, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস)

রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়

রাতে বাচ্চারা হঠাৎ করে কান্না করে ওঠে। রাতের দিকে বাচ্চাদের কান্না বিরক্তি কর এবং চিন্তার বিষয়। বাবা মারা বাচ্চার কান্না থামানোর জন্য নানা ধরনের উপায়ে খেলনা পাতি এবং খাওয়া-দাওয়া করালে বাচ্চার কান্না থামাতে পারে না। বাচ্চা একনাগাড়ে কান্না করতে থাকে। পিতা-মাতার বাচ্চার কান্না দেখে হয়তো ভাবে শিশুটি মারাত্মক কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে না হলে পেটে ব্যথা হচ্ছে বা কোন অসস্তি বোধ করছে। তাই বাবা মারা কান্না থামানোর জন্য কোরআন শরীফ থেকে কিছু সূরা পাঠ করতে পারে। এসব সূরা পাঠ করলে শিশুর কান্না থেমে যাবে। নিচে এসব সূরা শেয়ার করা হয়েছে।

 আউ`জু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিং কুল্লি শাইত্ব-নিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিং কুল্লি আ`ইনিল লা-ম্মাহ।

অর্থ : ‘প্রত্যেক শয়তান হতে আল্লাহর পূর্ণ কালেমা দ্বারা তোমাদের দু’জনের জন্য পরিত্রাণ চাচ্ছি। আর পরিত্রাণ চাচ্ছি প্রত্যেক বিষাক্ত কীট হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর চক্ষু হতে।’ (বুখারি, মিশকাত)

সুতরাং আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রত্যেকের ছোট বাচ্চাদের সকল প্রকার কুদৃষ্টি, ক্ষতিকর প্রভাব, বিষাক্ত প্রাণী ও সকল প্রকার বিপদাপদ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

বাচ্চাদের ঘুমানোর দোয়া

রাতে বাচ্চারা কান্না করে। সহজেই তারা রাত্রিবেলা ঘুমাতে চায় না। বাচ্চাদের নানা ধরনের খেলনা পাতি দেওয়ার পরও তারা কান্না করে তো করেই। তাই বাচ্চাদের রাত্রিবেলা কান্না থামানোর পর ঘুমানোর জন্য কোরআন শরীফ হতে কিছু দোয়া পড়তে পারেন। কোরআন শরীফ কর্তৃক দোয়া পড়লে রাতের বেলায় বাচ্চারা ঘুমাতে পারবে। এই অনুচ্ছেদে বাচ্চাদের ঘুমানোর জন্য কিছু দোয়া শেয়ার করা হয়েছে।

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ – اللَّهُ الصَّمَدُ – لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ – وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

শিশুরা বেশি কান্না করলে কি হয়

জন্মের পর থেকে ই শিশুরা কান্না করে। শিশুদের কান্নার নানা ধরনের কারণ আছে। এত অবুঝ তারা তো বলতে পারেনা। তাই তাদের দায়ভার ভিজে গেলে বা খিদে লাগলে বা কোন সমস্যা যেমন পেটে ব্যথা হলে বাচ্চারা কান্না করে। তবে অস্বাভাবিকভাবে বাঁচা কান্না করলে পিতা-মাতা চিন্তিত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত শিশুরা কান্না করলে শিশুদের শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে মারাত্মকভাবে ক্ষতিসাধন হয়। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা কমে যায়। অতিরিক্ত কান্না কারণে শিশুদের উপস্থিত বুদ্ধি হ্রাস পায় এবং বদরাগি হয় ।
তাই অস্বাভাবিকভাবে শিশুদের কান্না অবহেলা করলে চলবে না। শিশুদের কান্না থামানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে ডাক্তারকে দেখিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়, তুমি অবুঝ হে শিশু তুমি কান্না পেলে চিন্তিত হয়ে মা বাবা চিন্তিত হয় পরিবার। শিশুর কান্নায় একটি সুখী পরিবার হঠাৎ অসুখী হয়ে যায়। তাই শিশুর অস্বাভাবিক কান্নাকে অবহেলা না করে শিশুর কান্না থামানোর জন্য নানা উপায় অবলম্বন করি। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *