টিপস

বেইমান, স্বার্থপর, পোল্টিবাজ, মুখোশধারীদের নিয়ে স্ট্যাটাস, ক্যাপশন

আমি এই অনুচ্ছেদে আমাদের সমাজের মুখোশধারীদের নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সামনে শেয়ার করব। আমরা আমাদের সমাজের ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবো হাজার হাজার বেইমান, স্বার্থপর, মুখোশধারী ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা দেখতে হুবহু মানুষের মতো হলেও এরা আসলে বেইমান। এরা বন্ধু হিসেবে আমাদের পাশে দাঁড়ায় কিন্তু বন্ধু হয়ে আমাদের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে দিয়ে চলে যায়। তাই আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা বেইমানদের নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস, স্বার্থপরদের নিয়ে স্ট্যাটাস এবং মুখোশধারী কিছু বন্ধুর নিয়ে স্ট্যাটাস তুলে ধরব। আমার এই অনুচ্ছেদ হতে আপনারা স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে ফেসবুকে ব্যবহার করতে পারবেন। আমার স্ট্যাটাস গুলো পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন মুখোশধারী বন্ধুরা আমাদের কত বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই আসুন পুরো আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ে নিন।

বেইমানদের নিয়ে স্ট্যাটাস

বেইমান হলে কেউ অসত্য বলে বুঝানো হয়। বেইমানি করা হলে কেউ অন্যদের বিশ্বাস এবং ভরসা ভেঙ্গে দেয় এবং কখনও অন্যদের নষ্ট করতে পারে। বেইমানি করা সামাজিক নীতিমালা বা আইন ও বিধি বিরোধী হয় এবং এটি দুঃখ এবং ক্ষতি সৃষ্টি করতে পারে। একজন বেইমান হওয়া খুব নেতিবাচক নয় এবং এর কারণে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সামাজিক পরিবেশের সাথে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বেইমানি একটি দোষ হওয়া সামাজিক স্বার্থের ক্ষতি সৃষ্টি করে এবং এটি বিভিন্ন সমস্যার মূল হতে পারে, যেমন মনোযোগ বিতর্ক, বিশ্বাস ভেঙ্গে দেওয়া, সম্মান হানা এবং আইন লঙ্ঘন। তাই, বেইমানি একটি খারাপ স্বভাব হিসাবে বিবেচিত এবং সমাজে এর বিরুদ্ধে সক্ষম করা উচিত।

**মানুষ অতি সহজে দূরের লোকদের কাছ থেকে বেইমানির শিকার হয় না…,,, বরং তারা সবচেয়ে অতি কাছের পরিচিত মানুষদের থেকেই বেশি বেইমানের শিকার হয়..!!**

** বেইমান ও স্বার্থপর মানুষ দ্বারা কখনো অন্যের উপকার হয়না..,, কেননা তারা সব সময় তাদের নিজেদের স্বার্থ নিয়েই চিন্তা করে..!!**

** ক্ষমা তাকেই করা যায় যে ভুল করেছে..,, কিন্তু বেইমানিকে কখনো ক্ষমা করা যায় না..!!**

** মানুষের স্বপ্ন কখনো তার সাথে বেইমানি করে না..,, বরং স্বপ্ন দেখানো সেই মানুষগুলো বেইমানি করে..!!**

** জীবনে একজন ব্যক্তিকে কখনো মাফ করা যায় না..,, যে বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে বেইমানি করে..!!**

** যতই খারাপ কাজ করো কিন্তু জীবনে এমন কাউকে ধোকা দিও না..,, যে তোমাকে তার প্রাণের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করে..!!**

** প্রকৃত বন্ধু কখনো বেইমানি করে না..,, বরং যারা বেইমানি করে তারা হচ্ছে বন্ধুত্বের রূপ ধরে থাকা শত্রু,,!!**

** ভালোবাসা কখনো মানুষের সাথে বেইমানি করে না..,, বেইমান তো করে ভালোবাসার সেই মানুষটা..!!**

স্বার্থপরদের নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

“স্বার্থপর” শব্দটি সাধারণত নেতৃত্ব, ব্যবসা, রাজনীতি এবং আর্থিক সম্পদ সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ হল একটি ব্যক্তি বা সম্পদ যার প্রতিফলন হিসেবে স্বয়ং উপকার সাধন করার জন্য নিজের প্রয়োজনে অন্যকে বাধা দেয়া বা নিজের প্রতিফলনের চেয়ে অন্যদের উপকার সাধনের জন্য অস্বয়ংক্রিয় থাকা।যেমন, যদি কোন ব্যবসায়ী তাঁর পণ্যের দাম অন্যকের চেয়ে বেশি রাখে বা নেতৃত্বের জন্য তাঁকে সম্মান ও সুবিধা দেওয়ার জন্য তাঁ নিজের স্বার্থ অন্যদের সহযোগিতা ছাড়াই সাধন করে তবে তাঁকে স্বার্থপর বলা হতে পারে। তবে, স্বার্থপর একটি নেতিবাচক গুণ নয় এবং এটি সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপকারজনক হতে পারে।

সুখী হওয়ার জন্য, প্রথমে অবশ্যই সকল সঙ্কীর্ণতা এবং স্বার্থপরতা ছেড়ে দেওয়া উচিত ।

সবচেয়ে কৃপণ ব্যক্তিরা হলেন তারা যারা কেবল নিজের সম্পর্কে যত্নবান হন, কেবল নিজের সমস্যাগুলি বোঝেন এবং কেবল তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দেখেন।

আসুন, যেকোন সফ্টওয়্যারের ‘শর্তাবলী’ উপেক্ষা করার মতোই স্বার্থপর লোকদের উপেক্ষা করতে শিখি।

কখনও কখনও আপনাকে নিঃস্বার্থ হতে হলে স্বার্থপর হতে হবে ।

ভুয়া বন্ধুরা প্লাস্টিকের মতো, ব্যবহার শেষে এদের কে ফেলে দিতে হয় ।

আমি নিজের ব্যাপারে যত্নশীল তাই বলে কি আমি স্বার্থপর ?

স্বার্থপর লোকেরা কেবল তাদের নিজেদেরকেই অর্জন করে ।

মানুষ একা না হলে আপনাকে মূল্যায়ন করবে না, তারা যখন একা থাকে তখন কেবল মূল্যায়ন করবে ।

স্বার্থপর হওয়া ভাল। তবে এতটা আত্মকেন্দ্রিক নয় যে আপনি কখনই অন্য লোকের কথা শোনবেন না।

কিছু কিছু মানুষ স্বার্থপর, ব্যাবহার শেষে তারা আপনাকে ফেলে দিবে ।

আমি ঠিক বুঝতে পারি না যে, লোকেরা কীভাবে এত স্বার্থপর আর অভদ্র হতে পারে এবং তবুও তাদের মনে হয় যে তাদের বন্ধু রয়েছে ।

কখনও কখনও স্বার্থপর হওয়ায় কোনও ক্ষতি হয় না, আমরা সকলেই সর্বোপরি সুখ চাই ।

স্বার্থপর হওয়া কখনও কখনও ভাল, এটি কিছু অযাচিত সমস্যা থেকে আপনাকে বাঁচায় ।

কখনও কখনও স্বার্থপর হওয়া সুখী থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ।

আমি স্বার্থপর নই, আমি নিজেকে নিয়ে অন্যের চেয়ে বেশি ভাবি ।

আজকের দুনিয়ায় কখনো কখনো স্বার্থপর হওয়া খুব প্রয়োজন ।

স্বার্থপর মানুষ গুলো কখোনই বড় মনের অধিকারী হতে পারে না ।

মুখোশধারীদের নিয়ে স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

আমাদের আশেপাশে ভালো কলের লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে হাজার হাজার মুখোশধারী দেখতে মানুষের মত অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা আমাদের কাছে আসে ভালো মানুষের মুখোশ ধারণ করে। বিপদের সময় ঠিকই এরা আমাদের সবথেকে বেশি কষ্ট দেয়। এরা আমাদের যখন ভালো সময় ঠিক তখন পাশে থাকে কিন্তু এরাই আমাদের সবথেকে বিপদে ফেলে পালিয়ে চলে যায়। তাই এই অনুচ্ছেদে আমরা মুখোশধারীদের নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন আপনাদের জন্য আলোচনা করলাম।

১. মানুষকে যত সহজে বিশ্বাস করতে শুরু করবেন, দেখবেন আপনার চারিদিকে মুখোশধারী মানুষের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে।
— সংগৃহীত।

২. বিপদের দিনে সাহায্য করেছিলো যে বন্ধু তাকে খুব যত্ন করে কাছে রেখে দিন, মুখোশধারী মানুষের জগতে সে এক সম্পদ।
— ক্রিস্টোফার ইভান্স।

৩. মুখোশধারী বন্ধুর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সে আপনাকে ঠিক ভুল বিবেচনা না করেই আপনার সঙ্গ দেবে।
— রবার্ট ফ্রস্ট।

৪. আপনার সুদিনে সবচেয়ে বেশি তোষামোদ করা বন্ধুটিকে চিনে রাখুন, দেখবেন বিপদের দিনে তাকে কিছুতেই খুঁজে পাবেন না।
— ডেভিড শেফার্ড।

৫. যে শত্রু আপনাকে আক্রমণ করে তাকে নয়, বরং যে মুখোশধারী বন্ধু আপনাকে আলিঙ্গন করে তাকে ভয় করুন।
— চার্লস রিখটার।

৬. মুখোশধারী বন্ধু আপনার সাথে এতটাই মিষ্টি ব্যবহার করবে যে আপনি তার হৃদয়ের তিক্ততার কোনো আন্দাজই করতে পারবেন না।
— স্টিভ ম্যাকয়।

পল্টি বাজদের নিয়ে স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

পল্টিবাজ কারা জানেন? যারা আপনার পাশে বন্ধু হিসেবে দাঁড়াবে কিন্তু একটু বিপদ দেখলে আপনার সঙ্গ পরিত্যাগ করবে। বা আপনাকে একটি কথা বলবে পরক্ষণে সেই কথা ভুলে যাবে এবং আপনার বিপক্ষে কথা বলবে। মূলত তারাই হলো পল্টিবাজ এরা সমাজের সবথেকে খারাপ ব্যক্তি। এদের সঙ্গ পরিত্যাগ করা উচিত ।

“যে ব্যাক্তি ধোঁকাবাজি করে, তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ।”
— সহিহ মুসলিম ১৮৫

” আপনি কারও কাছ থেকে কাউকে চুরি করতে পারবেন না । সে সম্ভবত ইতিমধ্যে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলো, আপনি কেবল অজুহাত ।”

” তিনি আপনার কাছ থেকে যা চেয়েছিলেন তা পেয়েছেন এখন সে আপনার অস্তিত্বের কোনও চিন্তা করে না, তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা আপনার সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয় ।”

” একটি সম্পর্কে প্রতারণা করবেন না। আপনি যদি খুশি না হন তবে চলে যান। ”

” প্রতারণাপূর্ণ একজন লোক বিজয়ী হওয়ার ভান করে কিন্তু হেরে যায় ।”

” আপনি যদি এমন কারো সাথে প্রতারণা করেন, যে আপনার জন্য কিছু করতে চায়, তবে সত্যিকার অর্থে আপনি নিজের সাথেই প্রতারণা করছেন ।”

” যে একবার প্রতারণা করে সে প্রতারক, তাকে আর কখইনই বিশ্বাস করা উচিৎ নয় ।”

” সম্পর্কের তিনটি নিয়ম: মিথ্যা বলবেন না, প্রতারণা করবেন না এবং এমন প্রতিশ্রুতি দিবেন না যা আপনি রাখতে পারবেন না ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *