মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারন কি

আজকে এই নিবন্ধে মাথা ঘোরাও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রেসার জনিত বা শরীর দুর্বল হয়ে গেলে আমাদের মাথা ঘুরে। এছাড়া নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে শরীর নানা ভাবে দুর্বল হয়ে যায় এবং আমাদের শরীরের যাবতীয় কাজকর্ম ব্যাঘাত ঘটে তাই মাথা ঘুরে এবং মাথা ব্যথা হয়। মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যথার কারণে অনেকেই প্রায় সমস্যা পড়ে থাকেন।
শরীর দুর্বল হয়ে গেলে মাথার ঘোরাসহ চোখে ঝাপসা দেখা হয়। ঝাপসা দেখলে ও হয়তো চোখের সমস্যা না হলে শরীর মারাত্মক ভাবে দুর্বল হয়ে গেছে শরীরের ভিটামিন এর প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। তাই আজকের এই নিবন্ধে মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি এবং এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারন কি
আপনি কি মাথা ঘোরার সমস্যা নিয়ে ভুগতেছেন। এমন সমস্যায় আমরা অনেকেই বলি এই সমস্যা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয় বলে তাই আমরা এ নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এই থেকে আপনার বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যায় সৃষ্টি হতে পারে। এই সমস্যা থেকে ভবিষ্যতে আপনার বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হতে। প্রথমেই জেনে নি ন কি কারনে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়। নার্ভের সমস্যার কারণে মাথা ঘোরার সৃষ্টি হতে পারে। শোয়া অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ালে অথবা হুট করে দাঁড়ালে আপনার মাথা ঘুরে। এই সমস্যার মূল কারণ হতে পারে নার্ভের সমস্যা।
তাই এই সমস্যা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।দের পরামর্শ নিতে হবে। স্নায়ু সমস্যার কারণেই উঠে দাঁড়ালে বা শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাকে অবহেলা করলে চলবে না। রক্তচাপ কম থাকলে অনেক সময় এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। রক্তচাপ কম থাকলে শরীরের স্নায়ুতন্ত্রে রক্ত সঠিকভাবে সচল না হলে এই মাথা ঘোরার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে দেখে আপনি আপনার প্রেসার চেক করে এই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। অনেকেরই ক্ষেত্রে উচ্চতার ক্ষেত্রে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে পাহাড়ে উঠতে অথবা অনেক উঁচু বাড়িতে উঠলে মাথা ঘুরতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে বসতে বা উঠতে যাদের মাথা ঘুরে ভবিষ্যতে তাদের ডিমেনশিয়া হতে পারে। অর্থাৎ সবকিছু ধীরে ধীরে ভুলে যেতে শুরু করে এবং কোন কিছুই সঠিকভাবে মনে থাকে না। তাই এই রোগে অবহেলা না করে আমরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের চিকিৎসা করতে পারি।
মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ
মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব একটি মারাত্মক রোগের লক্ষণ বলতে পারি, মাথাব্যথা কে আশেপাশে এক ধরনের অস্বস্তিকর হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হলেও মাথাব্যথা হলে সাধারণত অস্বস্তিকর লাগে এবং এর সাথে যদি বমি বমি ভাব হয় তাহলে মারাত্মক রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে। অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে মাথাব্যথা অনুভব হয় মাইগ্রেনের কারণেই মাথাব্যথা বমি বমি ভাব মাথা ঘোরা হালকা সংবেদনশীলতা এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগের লক্ষণ সৃষ্টি হতে পারে এই মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব।
ডিহাইড্রেশন লো ব্লাড সুগার এ ছাড়া চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লিভার কিডনির ব্যথা অপুষ্টি এবং হরমোন জনিত কারণে মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব এছাড়াও ডায়াবেটিস ইবোলা ভীষণ ঠান্ডা লাগলে বা হলুদ জ্বর হলে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তাই মাথা ব্যথায় এবং বমি বমি ভাব লক্ষণ দেখা গেলেই আপনারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন।
মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ
হঠাৎ করে থা ঘুরছে। বুঝতে বা উঠতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য মাথা ঘুরতেছে। এই সমস্যাকে অবহেলা করলে চলবে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে স্নায়ুতন্ত্রের নার্ভের সমস্যা কারণে ই এই মাথা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ভার্টিক ও হলেও মাথা ঘুরতে পারে। শোয়া থেকে হুট করে উঠলে বা কোন অবস্থায় বসে থাকলে হুট করে দাঁড়িয়ে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যেতে পারে এই ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হতে পারে শরীর দুর্বল এবং ব্লাড প্রেসার ও মানসিক চাপ। ব্লাড প্রেসার কম হলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমরা বলতে পারি মাথা ঘোর কোন রোগ নয় তবে রোগের উপসর্গ বা লক্ষণ। মাথা ঘুরে আপনার স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে আপনার ইনসুমিন্নিয়া হতে পারে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাথা চক্কর দিলে করণীয়
মাথা চক্কর দিচ্ছে তার মানে আপনার মাথা ঘুরতেছে। মাথা ঘুরা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা অনেক রকমের মতামত দিয়েছি। অনেকেই মাথা ঘোরা টাকে এক ধরনের রোগের লক্ষণ বলে। স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া চোখের সমস্যার কারণে আমাদের মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরা অনুভব হয়। আমাদের চোখের অক্ষিতে রেটিনার সমস্যার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ভার্টিকা জনিত রোগের কারণেও এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
তাই মাথা ঘোরা হলে আমাদের করণীয় হল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া। মাথা ঘোরা থেকেই ভবিষ্যতে আপনার অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। শরীরে ব্লাড প্রেসার সুগার কমলে বাড়লে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই মাথা চক্কর দিলে উপস্থিত আমাদের অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে এবং আমাদের হাতের কাছে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
মাথা ঘুরানোর ঔষধের নাম
আপনার কি মাথা ঘুরছে । আপনার আশেপাশে কোন ডাক্তার না থাকলে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার মাথা ঘুরা কমাতে পারেন।
- পানি পান করুন বেশি বেশি পানি পান করলে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে না। পানি স্বল্পতার কারণে মাথা ঘোরার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- কিছু খান রক্তের সুগারের মাত্রা কমে গেলে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদেরও এই সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই স্বাস্থ্যকর কোন কিছু খাদ্য খেতে হবে।
- বাড়িতে আদা থাকলে আদা বমি বমি ভাব কমাতে পারে কারণ আধা মানুষের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এ পর্যন্ত মাথা ঘোরা সমস্যা সমাধান করতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে আপনার স্নায়ু পদ্ধতি ভালো থাকবে এবং রক্তস্বল্পতার রক্তচাপ কমে যাওয়া প্রতিরোধ করবে।
- ঘুমান যখন আপনার প্রচুর মাথা ঘুরবে তখন আপনি শুয়ে ঘুমার চেষ্টা করুন
মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির উপায়
অনেক কারণেই মাথা ঘুরে। রক্তচাপ কমে যাওয়া হাড়ের সমস্যার কারণে হাইপোগ্লাসমিয়া ফিডে স্টক দৃষ্টি শক্তির সমস্যা মাইগ্রেনের সমস্যা মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণেও মাথা ঘুরতে পারে। এছাড়া পানি সর্পতা মানসিক চাপ হরমোনের পরিবর্তন ওষুধের প্রতিক্রিয়া হলেও এসব সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। মাথার ব্যথা দুর্বলতা শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা বমি বমি ভাব এসবই হলো মাথা ঘুরার লক্ষণ।
কি উপায়ে মাথা ঘুরে কমানো যায় এ নিয়ে কি আপনারা ভাবতেছেন। মাথা ঘুরার চিকিৎসায় আপনি কিছু ঘরা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
পানি স্বল্পতার কারণে যেহেতু মাথা করে তাই বেশি বেশি করে পানি পান করবেন সামান্য মধু ও ভেষজ চা পান করত পারেন। আপনাকে যদি বমি বমি লাগে তাহলে আপনি আদা জল খেতে পারেন আদা জল খেলে মানুষের রক্তের সঞ্চালনতা বৃদ্ধি পায় মাথা ঘোরা কমায়। চা এর সাথে আদা মিশিয়ে চা খেতে পারেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথা একটু কমবে।
উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট খাবার খেলে আপনার রক্তে সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় যেমন কাঠবাদাম ,ওয়ালনাট।
অনেক সময় ঘুমের কারনেও এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। ঘুমের ঘাটতি পূরণ করুন।