মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

একটি মেয়ের জীবনে মাসিক বা ঋতুস্রাব একটি নিয়মিত ঘটনা। প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে একটি মেয়ের ঋতুস্রাব হওয়া মানে সে জৈবিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। কোন মেয়ের যদি নিয়মিতভাবে মাসিক না হয়ে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে সে জৈবিকভাবে অসুস্থ। অর্থাৎ, একটি মেয়ের যৌনতার বিষয়ে সুস্থ থাকা নির্ভর করে তার ঋতুস্রাব এর উপর। তাই মাসিক হওয়া প্রত্যেক মেয়ে মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণত বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশে মেয়েদের ঋতুস্রাব হওয়া শুরু হয় ১১ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। এবং এটি নিয়মিতভাবে চলতে থাকে একটা সময় পর্যন্ত। এই সময়টিতে সেই মেয়েটির বাচ্চা ধারণের উপযুক্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকের নির্মিত ভাবে মাসিক হচ্ছে না। অনেকে ধারণা করে থাকেন মাসিক যদি নিয়মিতভাবে না হয় তাহলে বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা কম হয়ে যাবে এবং অনেক ক্ষেত্রে বন্ধাত্বের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই মেয়েদের মাসিক না হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু সে বিষয়ে আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা আলোচনা করব। আপনারা যারা মাসিক না হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে আমার এই অনুচ্ছেদ এসেছেন তাদের সকলকে স্বাগত। আমরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে আজকের এই অনুচ্ছেদটি আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আশা করি আমার এই অনুচ্ছেদে আপনারা মাস িক সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।
মাসিক কি?
সাধারণত একটি মেয়ে শৈশব পার করে যখন কিশোর ী প্রবেশ করে ঠিক সেই সময় মাসিক হওয়া শুরু হয়। প্রত্যেক মাসে মাসিক হওয়া অত্যন্ত জরুরী কারণ মাসিকের সময় মেয়েটির শরীরে ডিম্বাণু তৈরি হয়। এবং এই সময় পরিশ্রমণির সাথে যৌন মিলনের ফলে সে বাচ্চা জন্মদানের জনসম্পন্ন প্রস্তুত থাকে। তাই সুস্থ জৈবিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিতভাবে মাসিক হওয়া জরুরি।
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
মাসিক না হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কি থাকে না সেটি এক কথায় উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। এটি নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। বিভিন্ন কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে। কিন্তু মাসিক বন্ধ হলেই যে আপনি গর্ভবতী হয়ে গেছেন এমনটা ভেবে নেওয়া যাবে না।
সাধারণত একটি মেয়ে যখন ঋতুস্রাব চক্রের মধ্যে আবদ্ধ থাকেন তখন বেশ কিছুদিন রক্তপাত হয়ে থাকে। রক্তপাত বন্ধ হওয়ার ২-৩ দিনের মধ্যে আপনার জরায়ুতে একটি ডিম্বাণু তৈরি হবে। এই সময়ে যদি কোন মেয়ে পুরুষ সঙ্গীর সাথে যৌন মিলন করে তাহলে সে ডেঞ্জার অবস্থায় চলে যেতে পারে। অর্থাৎ ডেঞ্জার অবস্থায় কোন মেয়ে যদি যৌন মিলন করে এবং পরবর্তী মাসে মাসিক না হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে গেছে।
আবার কোন মেয়ে যদি যৌন মিলন করার ফলে মাসিক বন্ধ হয় তারপরও সিওর ভাবে বলা যাবে না যে মেয়েটি গর্ভবতী হয়েছে কিনা। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে শিওর হতে হবে মেয়েটির প্রেগন্যান্সি বা গর্ভধারণ হয়েছে কিনা।
একটি মেয়ে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে লক্ষণটি সবাই পর্যবেক্ষণ করে সেটি হল যৌন মিলনের পরবর্তী মাসে নিয়ম অনুযায়ী মাসিক হয়েছে কিনা। মাসিক যদি না হয়ে থাকে এবং মেয়েটি যদি বমি বমি ভাব, শারীরিক দুর্বলতা এবং স্বাদ না পাওয়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ করে তাহলে বুঝতে হবে মেয়েটি কনসেপ্ট করেছে বা বাচ্চা হতে পারে।
ইত্যাদি সিমটম দেখা না গিয়ে যদি শুধুমাত্র মাসিক বন্ধ হয় তাহলে শিওর হয়ে বলা যাবে না মেয়েটি করব কিনা।