ভ্রমণ

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়া ২০২৩

ঢাকা কলকাতা মধ্যে যাতায়াতকারী জনপ্রিয় ট্রেনটির নাম হল মৈত্রী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন হতে কলকাতা পর্যন্ত যাতায়াত করে। আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিট মূল্য আলোচনা করবো। আপনার যারা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট মূল্য এবং সময়সূচী অনুসন্ধান করছেন তাদেরকে এই অনুচ্ছেদে স্বাগত জানাচ্ছি। এই অনুচ্ছেদটি পড়লে ঢাকা কলকাতা রোডের মধ্যে এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সহ যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।

ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে যাতায়াতকারী একমাত্র ট্রেনটির নাম হল মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ এবং ভারতের বন্ধু সুলভ সম্পর্কের কারণে এই ট্রেনটি চালু হয়েছিল। বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ট্রেনটি চালু হয়েছিল বিধায় এই ট্রেনটির নাম হয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ট্রেনটি ২০০৮ সালের ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন চালু হয়েছিল। সম্পূর্ণ সে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনটিতে খুব সহজেই যে কোন ছেলে যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। টেনশন মূলত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন হতে কলকাতায় যাতায়াত করে থাকে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এবং রেলওয়ে স্টেশন ছাড়া ট্রেনটির টিকিট বিক্রি হয় কলকাতার বড় বড় রেল স্টেশন গুলোতে। তাই আপনারা যারা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন তারা আমার এই অনুচ্ছেদ হতে আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা থেকে কলকাতা সপ্তাহে ৪ দিন যায় বুধবার, শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবার। অপরদিকে কলকাতার চিতপুর স্টেশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে শনিবার যাত্রা শুরু করে একদিন পরপর ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহের সোমবার, মঙ্গলবার, শুক্রবার এবং শনিবার।  সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। সম্পূর্ণ সে শীতোতাপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনটিতে বিলাসবহুলভাবে যাতায়াত করার জন্য আপনার পছন্দের তালিকায় সবার শীর্ষে।

  • ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল সোয়া ৮টায় ছেড়ে কলকাতা চিতপুর স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টায়।
  • কলকাতার চিতপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে আর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছায় বিকাল ৪টা ০৫ মিনিটে।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

সম্পূর্ণ সেটা তো নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনটিতে বিভিন্ন রকম টিকিট ব্যবস্থা রয়েছে। এসি শেয়ার এবং এসি কেবিনের ব্যবস্থা থাকায় এই ট্রেনের সকল শ্রেণীর যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করার সময় পাসপোর্ট ভিসা পাশাপাশি ভ্রমণ কর সংযুক্ত থাকে বিধায় এই টিকিট মূল্য কিছুটা বেশি। সব মিলে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট মূল্য কত হবে তা আমার এই আর্টিকেল হতে ধারণা নিতে পারেন।

Related Articles

ঢাকা টু কলকাতা:

  • এসি কেবিনের প্রতি সিট ২,৯৩৫ টাকা ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্সসহ ৩,৪৩৫ টাকা।
  • এসি চেয়ার ১,৯৫৫ টাকা ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্সসহ ২,৪৫৫ টাকা।

কলকাতা টু ঢাকা:

  • এসি কেবিনের প্রতি সিট ২,০১৫ রুপি ।
  •  এসি চেয়ার ১,৩৪৫ রুপি।

NB. শিশুদের জন্য ৫০% ডিসকাউন্ট প্রযোজ্য হবে যদি ১-৫ বছরের মধ্যে বয়স হয়ে থাকে।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বাংলাদেশে কোথাও কাটতে হলে আপনাকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে হবে। এছাড়া আর কোথাও মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রি হয় না।

অপরদিকে কলকাতায় এই ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য কলকাতা চিৎপুর রেল স্টেশনে যোগাযোগ করতে হবে। বাংলাদেশে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়।

আপনাকে মাথায় রাখতে হবে টিকিট কাটার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট এর মূল কপি দেখে ফরম নিতে হবে। এ সময় ফরমের সিরিয়াল নম্বর লিখে দেওয়া হবে তারপর কমেন্টে পূরণ করে অপেক্ষা করতে হবে। সিরিয়াল অনুযায়ী পরবর্তীতে আপনার টিকিটের জন্য ডেকে নেওয়া হবে। একটি বিষয় বলে রাখার জরুরী আপনার ভিসা না থাকলেও এই ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *