স্ট্যাটাস

শীতের রাত নিয়ে স্ট্যাটাস, মেসেজ, এসএমএস, উক্তি, ক্যাপশন, ছন্দ ২০২৩

শীতকাল অনেকের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি ঋতু । আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা শীতের রাত নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস, শীতে রাত নিয়ে মেসেজ, শীতের রাত নিয়ে এসএমএস, শীতের রাত নিয়ে উক্তি, শীতের রাত নিয়ে ক্যাপশন ও ছন্দ তুলে ধরব। তাই আপনারা যারা শীতের রাত নিয়ে ইত্যাদি তথ্য অনুসন্ধান করে আমার সাথে এসেছেন তাদের সকলকে স্বাগতম। শীতকাল অত্যন্ত রোমান্টিক ঋতু হয় এই ঋতু টি সকলের অনেক প্রিয়। শীতে রাতে যদি প্রিয় মানুষটি পাশে থাকে তাহলে সেই রাত্রি সেই মানুষের কাছে সব থেকে মধুর হয় এটি বলার অধিকার রাখে না। এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে কারণ শীতকালে সকলেই সঙ্গী পেতে ভালোবাসে। একা ঘুমাতে চায় না একটি সঙ্গী পেলে সেই সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে সকলের ভালো লাগবে। কিন্তু যাদের সঙ্গে নেই তার জন্য শীতকাল অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা। সব মিলে যারা বিবাহিত এবং অবিবাহিত সকলের জন্য শীতকাল বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হয়। তাই আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা শীতের রাত নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

শীতের রাত নিয়ে স্ট্যাটাস

আজ এই শীতের লগনে কিছু কথা আমার মনে পড়ল। আজ যদি আমার কোন সঙ্গিনী আমার পাশে থাকতো তাহলে সারারাত তাকে জড়িয়ে ধরে কাটিয়ে দিতাম। কারণ আমি একলা বিছানায় শুয়ে থাকলে কোনমতেই নিজেকে গরম করতে পারিনা। এরকম নানান কথা শোনার জন্য আমার এই অনুচ্ছেদে আপনি এসে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা শীতের রাত নিয়ে একটু স্ট্যাটাস আপনাদের জন্য শেয়ার করব।

১। শীতকাল হলো আরামের, ভালো খাবার এবং উষ্ণতার জন্য, বন্ধুত্বপূর্ণ হাতের স্পর্শের জন্য,আগুনের পাশে আলাপ করার সময়, সময়টি একান্তই বাড়ির জন্য।

-এডিথ সাইডওয়েল

Related Articles

২। গ্রীস্মের উষ্ণতা কতটা ভাল, শীত ছাড়াই শীতকাল মিষ্টি লাগে।

– জন স্টেইনবেক

৩। স্বাগতম শীতকাল। আপনার দেরি হয়ে গেছে এবং শীতল নিশ্বাস আমাকে অলস করে দিচ্ছে কিন্তু আমি তবুও আপনাকে ভালোবাসি।

– টেরি গিলিমেটস

৪। শীতকে সংক্ষিপ্ত করতে, বসন্তের সময় কিছু টাকা ধার করুন।

-ডব্লিউ জে  ভোগেল

৫। এ ধরনের শব্দ শীতের গরম করতে পারে।

-জাপানি প্রবাদ

৬। শীত চিরকাল স্থায়ী হয় না, কোন বসন্ত তার পালা এড়াতে পারে না।

-হাল বোরল্যান্ড

৭। আসুন শীতকে ভালোবাসি কারণ এটি প্রতিভা বসন্ত।

-পিট্রো আরোটিনো

৮। হাসি এমন একটি সূর্য যা মানুষের মুখ থেকে শীতকে সরিয়ে দেয়।

-ভিক্টর হুগো

৯। প্রথমে শিখুন শ্রম দিন এবং  শীতে উপভোগ করুন।

-উইলিয়াম ব্লেক

১০। শীত যদি আপনাকে পড়ে যেতে সাহায্য করে এবং এর থেকেও বেশি কিছু দেয় তবে এটাই হবে সেরা মৌসুম।

-মারে পুরা

১১। শীত এলে বসন্ত কি অনেক পিছনে থাকতে পারে?

-পার্সি বাইশে শেলি

১২। আমি সম্ভবত শীতকালেই আমার কাজের৮০ শতাংশ লিখি।

-বব সেগার

১৩। উত্তর থেকে শীতল বাতাস বইছিল এবং গাছগুলি জীবন্ত জিনিসের মতো সশব্দে পরিণত হয়েছিল।

-জর্জি আর আর মারটিন

১৪। আমাদের যদি শীত না থাকে, তাহলে বসন্ত এত সুন্দর হবে না। মাঝে মাঝে প্রতিকূলতার সাধ না পেলে সম্বৃদ্ধি এত মজাদার হয় না।

-অ্যান ব্রাডস্ট্রিট

১৫। প্রতি শীতের নিজস্ব বসন্ত থাকে।

-এইচ টিটল

১৬। শীতের মত অন্য কিছু জ্বলে না।

-জর্জি আর আর মারটিন

১৭। শীত হল প্রকৃতির ঘুম।

-এইচ এস জ্যাকোবস

১৮। শীত মৌসুম নয়, এটি একটি উদযাপন।

-অনামিকা মিশরা

১৯। সিদ হচ্ছে পুনরুদ্ধার এবং প্রস্তুতির একটি মৌসুম।

-পল থেরক্স

২০। মানুষ খুশিতে থাকলে তখন কি শীতকাল নাকি গৃষ্ম কাল তা খেয়ালি করেনা।

-আন্তন চেখভ

শীতের রাত নিয়ে মেসেজ

শীতকালের মৃদু হাওয়া হৃদয়ে শীতলতা এনে দেয়। যারা শীতের রাত নিয়ে মেসেজ দিতে ভালোবাসেন শুধুমাত্র তাদের জন্য এই পোস্টটি। যারা ইন্টারনেট সার্চ করে শীতের রাত নিয়ে মেসেজ খুঁজতেছেন তারা নিম্নের এই পোস্ট থেকে শীতের রাত নিয়ে মেসেজ গুলো অতি শীঘ্রই সংগ্রহ করুন। মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করি অনেক ভাল লাগবে।

শীতে বঙ্গ প্রকৃতি সর্ব রিক্তা।

পত্রহীন গাছ গাছালিতে, শূন্য প্রান্তরে কেমন একটা নিঃস্বতার নিরব হাহাকার।

বাতাসে নেই পুষ্প সৌরভ প্রকৃতিতে নেই

প্রাণচাঞ্চল্য

দুরন্ত শীতের আক্রমণে প্রাণী সমাজ টাই বিবরবাসী।

সংগৃহীত

শীতের দিনের উষ্ণতার সন্ধানে গৃহস্থলী দেখা যায় গরম বস্ত্রের আধিক্য,

দরিদ্র সমাজের ভরসা কেবল অগ্নি স্থলই।

নিষ্ঠুর প্রকৃতি নয়, সমাজ ই নির্মম।

সংগৃহীত

শীতকাল নিয়ে ক্যাপশন

দীর্ঘ গরম পেরিয়ে আসার পর মানুষ অপেক্ষমান থাকে শীতকালের। শীতকালের মৃদু হাওয়া হৃদয়ে শীতলতা এনে দেয়। তাই শীতকাল কে ভালোবাসেন আজকে তাদের জন্য এই পোস্টটি। মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করি অনেক ভাল লাগবে।

আপনারা যারা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের শীতকাল নিয়ে ক্যাপশন সার্চ করতেছেন। কিন্তু এখনো খুঁজে পাননি তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। এই পোস্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন শীতকাল নিয়ে রোমান্টিক ক্যাপশন ও কবিতা।

সকাল বেলা ঘুম ভাঙাল একটি পাখি এসে,
শুভ সকাল বলল আমায় মিষ্টি করে হেসে।
আমিতো আর পাখি নয় বলব উড়ে উড়ে ,
বলছি তাই শীতের শুভ রাত্রি.

সকালের রোদ তুমি বিকেলের ছায়া,
গোধূলির রং তুমি মেঘের মায়া।
ভোরের শিশির তুমি জোছনার আলো,
আমি চাই তুমি থাক সব সময় ভাল।

শীতের শুভ রাত্রি

চোখ খুলে দেখ দিগন্ত তোমায় ডাকছে।
পাখিরা আপন সুরে গান গাইছে।
সূর্য মামা তোমার জানালার ফাঁক দিয়ে আলো দিচ্ছে।
আর মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখ, কেউ তোমায়

শুভ রাত্রি বলছে

শীতের রাত নিয়ে উক্তি

  • রৌদ্রের তাপ মৃদু, শিশির ঝরা রাত আর কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরবেলা চারিদিক,
    ধোঁয়ার মতন বাষ্পকণা উড্ডীন নদী ও পুকুরের জল হতে,
    পাতা ঝরা মরশুম যে কড়া নাড়ে দ্বারে
    আর জানান দিয়ে যায়;
    উদাসী সন্ন্যাসীর বেশে শীত এসেছে অাজ প্রকৃতিকে রিক্ত করতে।
  • গাছের পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দুর চোখ জুড়ানো শোভা,
    খেজুরগাছে ঝোলে রসের হাঁড়ি
    পৌষ পার্বণে পিঠে পুলির আয়োজন
    আর তার সাথে নলেনগুড়ের পায়েস
    একেই বলে শীতকালের আয়েস।
  • প্রকৃতির সে এক উদাসী বিষণ্ন চেহারা;
    সর্বাঙ্গে ধূসর পাণ্ডুরতার আবেশ
    শীতের সকালে লেপের আরাম ছেড়ে উঠতে চায় না মন আর
    চোখে যেন লেগে থাকে ঘুমের রেশ।
  • ঘন কুয়াশার চাদর জড়িয়ে আসে শীতের মনোরম সকাল ।
  • শুধু আমলকীর ডালে ডালেই নয়
    শীতের হিমেল হাওয়ার পরশ আমাদের শরীরকেও ছুঁয়ে যায়; হৃদয়ে লাগে দোলা দেহে জাগে শিহরণ।
  • শীত যেন এক উদাসী বাউল
    হাতে নিয়ে একতারা, বাজায় বৈরাগ্যের সুর।
  • নিরানন্দের আবরণকে সরিয়ে শীতের সকাল কথা বলে প্রাণচঞ্চল এক নতুন জীবনের।
  • শীতের সকাল যেন এক প্রৌঢ়া কুলবধূ; তার সলজ্জ মুখখানি দিগন্ত বিস্তৃত কুয়াশার অবগুণ্ঠনে ঢাকা।
  • শীতের সকাল যখন তার কুয়াশার অবগুণ্ঠন ধীরে ধীরে খুলতে থাকে তখন যেন তার বৈরাগ্য ধূসর অঙ্গ থেকে শুভ্র সমুজ্জ্বল ত্যাগের সুষমা ছড়িয়ে পড়ে গোটা প্রকৃতিতে।

শীতের রাত নিয়ে কবিতা

শীত রাত 

                                  —–জীবনানন্দ দাশ

এই সব শীতের রাতে আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে;
বাইরে হয়তো শিশির ঝরছে, কিংবা পাতা,
কিংবা প্যাঁচার গান; সেও শিশিরের মতো, হলুদ পাতার মতো।

শহর ও গ্রামের দূর মোহনায় সিংহের হুঙ্কার শোনা যাচ্ছে –
সার্কাসের ব্যথিত সিংহের।

এদিকে কোকিল ডাকছে – পউষের মধ্য রাতে;
কোনো-একদিন বসন্ত আসবে ব’লে?
কোনো-একদিন বসন্ত ছিলো, তারই পিপাসিত প্রচার?
তুমি স্থবির কোকিল নও? কত কোকিলকে স্থবির হ’য়ে যেতে দেখেছি,
তারা কিশোর নয়,
কিশোরী নয় আর;
কোকিলের গান ব্যবহৃত হ’য়ে গেছে।

সিংহ হুঙ্কার ক’রে উঠছে:
সার্কাসের ব্যথিত সিংহ,
স্থবির সিংহ এক – আফিমের সিংহ – অন্ধ – অন্ধকার।
চারদিককার আবছায়া-সমুদ্রের ভিতর জীবনকে স্মরণ করতে গিয়ে
মৃত মাছের পুচ্ছের শৈবালে, অন্ধকার জলে, কুয়াশার পঞ্জরে হারিয়ে যায় সব।

সিংহ অরন্যকে পাবে না আর
পাবে না আর
পাবে না আর
কোকিলের গান
বিবর্ণ এঞ্জিনের মত খ’শে খ’শে
চুম্বক পাহাড়ে নিস্তব্ধ।
হে পৃথিবী,
হে বিপাশামদির নাগপাশ, – তুমি
পাশ ফিরে শোও,
কোনোদিন কিছু খুঁজে পাবে না আর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *