স্বাস্থ্য সেবা

সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায়

বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি রোগ হলো ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস। একজন ডায়াবেটিস রোগী বিভিন্ন রকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা আলোচনা করব কিভাবে সুগার ঘরোয়া পদ্ধতিতে কমানো যায়। তাই আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে আমার এই অনুচ্ছেদটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। আপনি খুব সহজে আমার এই অনুচ্ছেদ হতে ডায়াবেটিস ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস অফ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। খাদ্য অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং আপনার চালচলনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। তাই কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সুগার কমানো যায় সে বিষয়ে আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা আলোচনা করব।

বিভিন্ন কারণে আপনি ডায়াবেটিস রোগের আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে এই রোগটি বংশ পরম্পরা এসে থাকে। আপনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত কিনা সেটি কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখে চিহ্নিত করতে পারেন। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আমরা এই অনুচ্ছেদে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার কিছু খাদ্য অভ্যাস এবং করণীয় আপনাদের সামনে তুলে ধরব। ডায়াবেটিস রোগীর সাধারণ কিছু লক্ষণ আপনাদের জন্য তুলে ধরলাম।

ডায়াবেটিস অন্যতম কিছু লক্ষণ হলো—

  • অতিরিক্ত তৃষ্ণা পাওয়া
  • কিছুক্ষণ পরপর মুখ শুকিয়ে আসা
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • চেষ্টা ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া
  • বারবার ইনফেকশন হওয়া। যেমন—ছত্রাকের সংক্রমণ (Thrush), মূত্রথলির সংক্রমণ (Cystitis) অথবা ত্বকের ইনফেকশন
  • পেট ব্যথা
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • নিঃশ্বাসে মিষ্টি ফলের ন্যায় গন্ধ হওয়া

সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায়

উপরে উপরের উল্লেখিত লক্ষণগুলো আপনার শরীরের মধ্যে দেখা দিলে আপনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এ সময় আপনি নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিতে পারেন। আপনার যদি ডায়াবেটিস ধরা পড়ে যায় তাহলে ঘরোয়া উপায় সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আমরা ঘরোয়া উপায় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু টিপস আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম।

Related Articles

১. খাবারের তালিকা পরিবর্তন: যেসব খাবার খেলে রক্তে সুগার বেড়ে যায়, সেগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হতে পারে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে কেক, মিষ্টি ও বিভিন্ন চিনিযুক্ত পানীয়।

২. প্রচুর পরিমাণে পানি ও চিনিমুক্ত পানীয় পান করা: এভাবে অতি উচ্চমাত্রার হাইপারগ্লাইসেমিয়ার কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতার সমাধান হবে।

৩. নিয়মিত শরীরচর্চা করা: নিয়মিত হাঁটাহাঁটির মতো হালকা ব্যায়াম করলেও তা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। অতিরিক্ত ওজনের অধিকারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শরীরচর্চা পদ্ধতি ওজন কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৪. ইনসুলিনের ডোজ পরিবর্তন: ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইনসুলিনের ডোজ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫. নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: ডায়াবেটিস রোগীকে নিয়মিত রক্তের সুগার পরিমাপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে রক্ত অথবা মূত্র পরীক্ষায় কিটোন টেস্ট করা হতে পারে। ব্লাড সুগার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কোনো নতুন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এমন লক্ষণ কোনো গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে৷

এই টিপস গুলো ফলো করলে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও আপনি ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করবেন যাতে করে ডায়াবেটিস আপনার শরীরে প্রাধান্য বিস্তার করতে না পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *