সেরা ইসলামিক উক্তি

সম্মানিত পাঠক, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা সেরা কিছু ইসলামিক উক্তি নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা যারা ইসলামিক উক্তি অনুসরণ করছেন তাদের জন্য এই অনুচ্ছেদে আমরা একসঙ্গে অনেকগুলো ইসলামিক উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে। তাই সেরা কিছু ইসলামিক উক্তি পাওয়ার জন্য আমার এই অনুচ্ছেটি আপনাকে ভালো করে অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আমাদের এই অনুচ্ছেদ হতে সেরা ইসলামিক একটি গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের জন্য কষ্ট করে সেরা ইসলামিক উক্তিগুলো সংগ্রহ করে রেখেছি। আমাদের সংগ্রহশালা পরে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমরা আমাদের সার্থকতা খুঁজে পাব। সেরা ইসলামিক উক্তিগুলো আপনাদের বিভিন্ন কাজে লাগানোর জন্য এই অনুচ্ছেদটি অনেক হেল্পফুল হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন উপদেশ মূলক বাক্য দেওয়ার জন্য ইসলামিক উক্তি যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে। আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ইসলামিক উক্তি শেয়ার করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামিক উক্তি শেয়ার করার জন্য সেরা কিছু ইসলামিক উক্তি এই অনুচ্ছেদের সংযুক্ত থাকবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, যদি কেউ কোরআনের আয়াত অন্য কাউকে মুখস্ত বলে শোনায় তাহলে প্রতিটি হরফের জন্য ১০ নেকি সওয়াব অর্জন করতে পারবে। আর যদি কেউ কোরআনের আয়াত দেখে অন্য কাউকে শোনায় তাহলে প্রতিটি হরফের জন্য ৭০ নেকি সওয়াব অর্জন করতে পারবে। তাই আমার এই অনুচ্ছেদ হতে সংযুক্ত কুরআনের আয়াত ও ইসলামিক উক্তিগুলো অন্য কাউকে শেয়ার করে আপনি এই নেকি অর্জন করার সুবর্ণ সুযোগ মিস করবেন না বলে আমরা আশা করছি। তাই আমরা যেমন আপনাদের কুরআনের আয়াত ও ইসলামিক উক্তিগুলো শুনিয়ে সোওয়াব অর্জন করব ঠিক তেমনি আপনারাও আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে স্ট্যাটাস দিয়ে সেই সোওয়াব অর্জন করার সুযোগ নিতে পারেন। তাই আমরা এই অনুচ্ছেদে উভয় পক্ষে লাভবান হওয়ার জন্য সেরা কিছু ইসলামিক উক্তি শেয়ার করলাম।
সত্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে সত্য সব থেকে পবিত্র একটি জিনিস। সত্য এমন একটি বিষয় যা প্রকৃত ঘটনার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। এবং আল্লাহর অস্তিত্ব বুঝতে মানুষকে সাহায্য করে। সত্যবাদী মানুষ আল্লাহর প্রিয় পাত্র হয়। সত্য নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি আমরা এই অনুচ্ছেদে তুলে ধরব। আপনারা এই অনুচ্ছেদ হতে সত্য নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন। হযরত —-
—-মোহাম্মদ (সঃ
“ সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ পাপ লুকানোর চেষ্টা করে কোনোদিন সফলকাম হতে পারে না। পাপের কথা স্বীকার করে যদি কেউ তা ত্যাগ করার চেষ্টা করে তবে তার পক্ষে সফলতা লাভ করা স্বাভাবিক ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে। ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয় ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
“ স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বগ সুখ আর কিছু নেই ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
দায়িত্ব নিয়ে ইসলামিক উক্তি
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের লালন পালন করার দায়িত্ব নিয়েছিল আমাদের বাবা-মা। কিন্তু আমরা এখন বড় হয়েছি তাই আমাদের দায়িত্ব হলো আমাদের বাবা-মায়ের দেখাশোনা করা। এরকম কিছু কিছু বিষয় আমরা দায়িত্ব পেয়ে থাকি। দায়িত্বশক্তির অর্থ হচ্ছে পরম করনীয়। যেটা আমাদের অবশ্যই পালন করতে হয় সেটাই হলো আমাদের দায়িত্ব। দায়িত্ব নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি এবার দেখে নেওয়া যাক।
ক্ষমতা ও দায়িত্ব আমানতস্বরূপ। এটি আল্লাহর নিয়ামত। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্বাধীন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। ’ (বুখারি)
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, প্রিয় নবী (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আবদুর রহমান, দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ে নিয়ো না। কারণ যদি তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তো তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে)। পক্ষান্তরে যদি না চাইতেই দায়িত্ব ও ক্ষমতা তোমার ওপর অর্পিত হয়, তাহলে তুমি ওই বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি মুসলিম জনগোষ্ঠীর শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক ও আত্মসাত্কারী হিসেবে মারা যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। ’ (বুখারি)
মেয়েদের নিয়ে ইসলামিক উক্তি
মেয়েদের নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি এই অনুচ্ছেদে তুলে ধরব। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে মেয়েদের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছে ইসলাম ধর্মে। মেয়েরা আমাদের মা আমাদের বোন আমাদের জননী। তাদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা করা আমাদের ফরজ। যারা মেয়েদের সম্মান করে না তারা কোনদিনও বেহেশত যেতে পারবে না। মেয়েদেরকে নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি দেখে নেওয়া যাক।
১।সেই নারী সবচেয়ে উত্তম যে তার
যৌবনের সমস্ত ভালবাসা আমানত রাখে তার স্বামীর জন্য
২।পর্দা হলো কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ।
এটা ফ্যাশনের জন্য না পরে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের জন্য পরা উচিত।
এটা মানুষকে দেখানোর জন্য না পরে বরং স্রষ্টার নৈকট্য পাবার জন্য পরা উচিত।
৩।আমি আমার শালীনতা
পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য
বর্তমান স্রতের বিপরীতে
থেকে পর্দা করছি
একটু সাহস করে আপনিও এগিয়ে আসুন
চেস্টা করুন আপনিও পারবেন.
৪।দাড়ির সাথে পুরুষ এবং পর্দার সাথে নারী-
এটা এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো সমন্বয়।
৫।রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে (কন্যাকে) কষ্টও দেয়নি, তার ওপর অসন্তুষ্ট ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদে আহমদ, ১:২২৩)
৭।রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান হবে, এবং সে তাদেরকে এলেম-কালাম, আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে, এবং যত্নের সঙ্গে প্রতিপালন করবে ও তাদের ওপর অনুগ্রহ করবে! সে ব্যক্তির ওপর অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’
৮।যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনজন বোন আছে অথবা দু’জন কন্যা সন্তান বা বোন আছে। সে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে এবং তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেছে। তার জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৬)
৯।যে ব্যক্তিকে কন্যা সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড়াল হবে। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৩)
১০যে ব্যক্তি দুইজন কন্যা সন্তানকে লালনপালন ও দেখাশুনা করল (বিয়ের সময় হলে ভালো পাত্রের কাছে বিবাহ দিল) সে এবং আমি জান্নাতে এরূপ একসঙ্গে প্রবেশ করব যেরূপ এ দুটি আঙুল। তিনি নিজের দুই আঙুল মিলিয়ে দেখালেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৪)