শিক্ষা

স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়

শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আপনারা এই আর্টিকেলে স্কলারশিপ বিষয় জানতে পারবেন। কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়? আপনি যদি বিদেশে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পেতে চান তাহলে আপনার সিজিপিএ কত থাকা লাগবে। স্কলারশিপ পেতে হলে আপনার কি কি ফরম পূরণ করতে হবে। কোথায় স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন কিভাবে আবেদন করবেন এই সকল বিষয় আজকের এই অনুচ্ছেদে তুলে ধরা হবে। তাই আপনারা যারা স্কলারশিপ প্রত্যাশী কিংবা স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আগ্রহী তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি। বিদেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোতে নিজ দেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের ফুল ফ্রি বা হাফ ফ্রি তে অন্যান্য দেশ থেকে শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সুযোগ দেয়। সেক্ষেত্রে ওই সকল দেশগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তাই স্কলারশিপ বলতে বুঝায় আপনি যখন কোন দেশে কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানে ফুল ফ্রী বা হাফ ফ্রি তে পড়াশোনা সুযোগ পাবেন। অপরদিকে যারা নিজস্ব টাকা-পয়সা থেকে বিদেশে কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে যায় তাদেরকে স্কলারশিপের আওতায় ধরা হয় না।

স্কলারশিপ কত প্রকার

বর্তমান বিভিন্ন প্রকারের স্কলারশিপ প্রচলিত আছে। এর থেকে জনপ্রিয় স্কলারশিপ গুলোকে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। আপনি একজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে বিদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে কি কি ক্যাটাগরিতে স্কলারশিপ পেতে পারেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

  • মেধাক্রম অনুযায়ী স্কলারশিপ 
  • প্রয়োজন অনুযায়ী স্কলারশিপ
  •  শিক্ষার্থী অনুযায়ী স্কলারশিপ
  • কর্মজীবন অনুযায়ী স্কলারশিপ

বিদেশী স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা

আপনি যদি বিদেশি উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার আবেদন করেন তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত যোগ্যতা গুলো অর্জন করতে হবে। আপনি কি কি যোগ্যতা অর্জন করলে আপনাকে স্কলারশিপের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে তা নিচে তুলে ধরা হলো।

SAT স্কোর বা মান 

Scholastic Assessment Test এর অর্থ হলো একজন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উচ্চশিক্ষার জন্য কতখানি নিজেকে তৈরি করতে পেরেছে। এই পরীক্ষার মান যে শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বেশি তারাই মূলত বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ এর জন্য মনোনীত হতে পারেন। তাই আপনারা যারা বিদেশী উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপের আবেদন করতে চাচ্ছেন। তারা অবশ্যই স্যাট স্কোর কে গুরুত্ব দেবেন। স্যাট স্কোর সম্পর্কে জানতে স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে পারেন।

Related Articles

সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ 

আপনি আপনার শিক্ষা জীবনে কোন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেছেন কিনা বিদেশী উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপের আবেদনের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হতে পারে। তাই বাংলাদেশের শিক্ষাগত অবস্থায় আপনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম মূলক অনুষ্ঠানগুলোতে যোগদান করবেন। এর আওতায় বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করা, মাদক নির্মূলে কাজ করা, যৌতুক বিরোধী আন্দোলন সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম এবং গণশিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন ।

সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার)

সুপারিশ পত্র বা রিকমেন্ডেশন লেটার। আপনি সমাজের প্রতিষ্ঠিত বা স্বনামধন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা সুপারিশ প্রাপ্ত হবেন যে আপনি বিদেশী উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপের উপযুক্ত। সে ক্ষেত্রে আপনার কলেজ কিংবা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আপনাকে সুপারিশপত্র প্রদান করতে পারবে।

ভাষা দক্ষতার প্রমাণ

আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সে দেশের ভাষার প্রতি আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন। আপনি ইউরোপ কিংবা আমেরিকার যে কোন রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ইংরেজির প্রতি বেশ গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ ইংরেজি ভাষাটাকে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে না হলে স্কলারশিপের আতাবদ্ধ হয়েও যেতে পারবেন না।

ভবিষ্যতের লক্ষ্য

ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করে নিন। স্কলারশি প নিয়ে বিদেশে যাওয়ার পর আপনি সেই দেশে থেকে যাবেন কিনা দেশে চলে আসবেন সেই বিষয়ে একটি নীল নকশা তৈরি করে নিন ।এবং আপনার স্কলারশিপের আবেদন পত্র সেটি জমা দিয়ে দিন ।

স্কলারশিপ পেতে করণীয় বা কি কি প্রয়োজন?

আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্রে স্কলারশিপের জন্য গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত থাকতে হবে। ওই দেশের ভাষার প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে, আপনি একাডেম িক বিষয়গুলো তো ভালো রেজাল্ট করলে অটোমেটিক আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধান আপনাকে স্কলারশিপের জন্য রিকমেন্ডেশন দেবে। আরো কি কি যোগ্যতা বা কাগজপত্র থাকা দরকার সে বিষয়ে আমি আলোচনা করেছি।

  •  এসএসসি অরজিনাল মার্কশিট। মনে রাখবেন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন মার্কশিট কপি গ্রহণযোগ্য নয় ।
  •   এসএসসি আরজিনাল সার্টিফিকেট । এটাও মূল কপি হতে হবে।
  •  এইচএসসি মার্কশিট অথবা সমমানের মূল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট।
  •  পাসপোর্ট। আপনার আবেদনের জন্য অবশ্যই আপনার নিজস্ব পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  •   ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফরম সংগ্রহ।
  •  অ্যাডমিশন লেটার । আপনি যে প্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপ নিতে চাচ্ছেন তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন । ওখান থেকে আপনি সিলেক্ট হওয়ার পর আপনাকে অ্যাডমিশন লেটার দেওয়া হবে।
  •  JW পেপার থাকা লাগবে। এখন আপনি হয়তো বা প্রশ্ন করতে পারেন এটা আবার কি? এই পেপারটি আপনাকে অ্যাডমিশন লেটার এর সাথে প্রেরণ করা হবে  আপনার পোস্ট অফিসে।
  •  ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  •  পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। তবে এটা শিথিল যোগ্য অনেক ক্ষেত্রে।
  •  মেডিকেল চেকআপ রিপোর্ট।
  •  ন্যাশনাল আইডি কার্ড এবং জন্ম সনদ সঠিক এবং মূল কপি।
  • অনেক ক্ষেত্রে বিমানের টিকিট বুকিং এর কাগজপত্র দরকার হয়ে থাকে।

বিভিন্ন দেশের স্কলারশিপ এর জন্য যে যে ওয়েবসাইট গুলোতে আবেদন করতে হবে তার একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো। এই সকল ওয়েবসাইটে গিয়ে ওই দেশের স্কলারশিপ সম্পর্কে এবং স্কলারশিপ আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আমেরিকা www.dol.gov
বাহরাইন www.mol.gob.bh
ব্রুনাই www.labour.gov.bn
বাহরাইন www.markosweb.com/www/mol.gov.sa
মিসর www.moiegypt.gov.eg/english
মালয়েশিয়া www.mohr.gov.my
রাশিয়া www.labour.gov.on.ca
সাইপ্রাস www.moi.gov.cy
স্পেন www.mtin.es/en
সিংগাপুর www.mom.gov.sg
অষ্ট্রেলিয়া www.workplace.gov.a
বাংলাদেশ www.moi.gov.bd

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *