বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ 2023

ছাব্বিশ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে শুরু করে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা সভা ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য প্রদান করেন স্বাধীনতা দিবস নিয়ে। আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ ২০২৩ আলোচনা করব। কিভাবে আপনি স্বাধীনতা দিবস নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে নিজের ভাষণ উপস্থাপন করবেন সেই বিষয়ে আপনাদের ধারণা দেবো। তাই আপনারা যারা স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ অনুসন্ধান করে আমার এই অনুচ্ছেদে এসেছেন তাদের সকলকে স্বাগতম। আমার এই অনুচ্ছেদ হতে স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন ভাষণ সংগ্রহ করতে পারবে না আশা করি আমার এই অংশটি আপনাদের উপকার করবে।
কিভাবে ভাষণ শুরু করবেন?
আপনি কোন অনুষ্ঠানে ভাষণ কিংবা বক্তৃতা দেওয়ার সময় অবশ্যই আপনার কিছু ফর্মালিটি মেনটেন করতে হবে। আপনি যেহেতু স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বক্তৃতা বা ভাষণ দেওয়ার জন্য মঞ্চে উঠবেন তখন অবশ্যই সর্বপ্রথম সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম স্মরণ করা আবশ্যক। এরপর মঞ্চে উপবিষ্ট সভাপতি বিশেষ অতিথি এবং প্রধান অতিথিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত শ্রোতা মন্ডলীকে শুভেচ্ছা জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি জাতিভেদে সালাম এবং আদাব প্রদান করবেন। এরপর স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু আলোচনার পর মূল বক্তব্যে চলে যাবেন। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কি কি আলোচনা করবেন সে বিষয়ে আমরা আপনাদের একটু জানিয়ে দেব।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ 2023
স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের একটি জাতীয় ছুটির দিন যা প্রতি বছর ২৬শে মার্চ পালিত হয়। এটি এমন একটি দিন যা 1971 সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্মরণ করে।
এই দিনে বাংলাদেশের মানুষ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, দেশাত্মবোধক গান গায় এবং কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। দিবসটি রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা এবং সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমেও চিহ্নিত করা হয়, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের সম্মান জানায়।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা যা দেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতি তার অঙ্গীকার তুলে ধরে। এটি জাতীয় গর্ব এবং স্মরণের একটি দিন, সেইসাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়াই করেছিল তাদের ত্যাগের স্মরণ করিয়ে দেয়।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ PDF
আপনি সম্পূর্ণ ধারনা নিয়ে যেকোনো জায়গায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য হিসেবে দিতে পারবেন।
শুরু করছি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এর বলা অমূল্য দুতি লাইন দিয়ে,
“তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দেব”।
কথাটি বলেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে। উপস্থিত আমার শিক্ষক, গুরু জনদের প্রতি আমার সালাম এবং স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
আজ, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে প্রান হারানো সকল শহীদদের।একই সাথে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ভাষা আন্দোলন এবং বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সকল বির শহীদদের প্রতি।১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যখন পাকিস্তান এবং ভারত আলাদা হয়ে যায় তখন তৎকালীন পাকিস্তানকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। তখন পূর্ব পাকিস্তান – ই আজকের বাংলাদেশ।
দেশ স্বাধীনের সুধু শুরু ১৯৮৭ সালের ১৬ আগস্ট থেকেই। এরপর ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয় ১৯৫২ সালে।এরপর ৬৬ এ ৬ দফা আন্দোলন হয়। ৬৯ এর এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন।
এর প্রত্যেকটি ছিলও দেশ স্বাধীনের একেকটি সার্থক পদক্ষেপ।১৯৭0 এর নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ বিজয় অর্জন করলেও পশ্চিম পাকিস্তান সরকার যখন ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করেন তখন বঙ্গবন্ধু সহ সকলে বুঝে যায়।এরপর-ই মূলত বাংলার আপামর জনসাধারন মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু অরেন।
এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ যখন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার দেশের ঘুমন্ত নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালান তখন রেডিও যোগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেন।এরপর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আটক হলে দেশের জনগন সেই মুহূর্তে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে।
এরপরের ঘটনা আমাদের সবার জানা। নানান বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা মহান বিজয় অর্জন করি। বাংলাদেশ নামের একটি নতু রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক!