স্ট্যাটাস

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, কবিতা, ছন্দ, কিছু কথা

আমরা এই অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস, স্বাধীনতা দিবসের উক্তি, স্বাধীনতা দিবসের কবিতা, স্বাধীনতা দিবসের ছন্দ, স্বাধীনতা দিবসের কিছু কথা আপনাদের মধ্যে শেয়ার করব। একসাথে রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতা দিবস বাঙালি জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিবস। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ ভয়ানক কালো রাতে বাঙালি জাতির উপর যে নিশংস হত্যা যোগ্য চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সেই সময় মুক্তিবাহিনী এবং বাংলাদেশের আপমর জনসাধারণের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় 30 লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই এই অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের জাতির জনগণের অত্যন্ত গৌরবের একটি বিষয়।

স্বাধীনতা দিবস হলো একটি উদযাপনমূলক দিন যা প্রায় সমস্ত দেশে পালিত হয়। এটি স্বাধীনতাবাদী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি গৌরবময় দিন হিসাবে পরিচিত। এই দিনটি দেশের স্বাধীনতার অধিকারের বিষয়ে জাগরুকতা উত্থান করার জন্য অনেক গুরুত্ব রাখা হয়।বিভিন্ন দেশে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়। এই দিনটি সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা অন্য প্রধান অফিস ধারকদের উপস্থিতিতে পালিত হয়। স্কুল এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অধিকাংশই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্পেশাল কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্বাধীনতা দিবসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকারের উপর জাগরুকতা উত্থান করা।

স্বাধীনতা দিবসের স্ট্যাটাস

১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ ভয়ানক কালো রাতে বাঙালি জাতির উপর যে নৃশংসতম গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। বাংলা জনগণ সে সময় মুক্তিকামী সাধারন মানুষদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী সহ বিভিন্ন বাহিনী গঠন করে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। এর কারণে পরের দিন ২৬ মার্চ বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ এবং নয় মাস রক্ত খায় সম্মেলনের পরে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা অর্জন হয়। তাই স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য নিয়ে আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা স্বাধীনতা দিবসের স্ট্যাটাস আলোচনা করছি।

এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

Related Articles

আজকের এই দিনটি এই মহান জাতির অংশ হয়ে গর্বিত বোধ করার একটি দিন। এই স্বাধীনতার চেতনা আমাদের সকলকে জীবনে সাফল্য এবং গৌরব অর্জনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাক। শুভ স্বাধীনতা দিবস

আমাদের দেশের শহীদদের যারা আমাদের দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে, তাদের শত কোটি প্রণাম। আজকের এই গৌরবের দিনে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যকে স্বাধীনতা দিবসের শুভ কামনা।

আমরা সবাই খুব আলাদা, কিন্তু একটি জিনিস আছে যা আমাদের এক করে এবং তা হল স্বাধীনতা। আমাদের এটিকে সম্মান করা উচিত। এই সুন্দর স্বাধীনতা দিবস উপভোগ করুন!

যাদের রক্ত দিয়ে লেখা
বাংলাদেশের নাম,
তাঁদের সকলকে জানাই
আমার প্রণাম।
🧡💚শুভ স্বাধীনতা দিবস💚

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতার স্বাদ দিতে,
যারা নিজেদের জীবনের পরোয়া করেননি।
তাঁদের প্রতি আমরা স্যালুট রইলো।

🧡💚শুভ স্বাধীনতা দিবস💚

গর্ব তো অনেক কিছুতেই হয়,
কিন্তু ভারতের এই পবিত্র মাটিতে
জন্ম নেওয়ার মতো গর্ব
অন্য কিছুতে হয় না।
🧡💚শুভ স্বাধীনতা দিবস💚

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কবিতা

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের প্রেক্ষাপটটি সহজ ছিল না। ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের এই কষ্টরচিত অর্জনের গুরুত্ব দিতে কবি সাহিত্যিকগণ অনেকগুলো কবিতা রচনা করে গেছেন আমরা সেই সকল কবিতার কিছু অংশ আজকের এই অনুচ্ছেদে তুলে ধরব।

স্বাধীনতা দিবস, তুমি

– মুহম্মদ কবীর সরকার(Mahdi Kaabir)

স্বাধীনতা দিবস,তুমিই স্বাধীন
আজ কেহ নেই তোমার অধীন।
বদলে গেছে ৭১আর আজকের দিন।
যে যার রাজত্বের রাণী
স্বাধীনতা দিবস তুমি
চৌয়াল্লিশ বছর পূর্বে তোমাকে
এনেছিলাম বুকের রক্ত দিয়ে লিখে।
জায়গা দিয়েছিলাম এই বুকে।
শত প্রাণ শত আঘাত ভুলে,
তোমার ঘরেও যে পরাধীনতা
মারামারি প্রাণ হীন নাশকতা
ওগো মোর প্রিয় স্বাধীনতা।
তবে তুমি কেন আসলে?
স্বাধীনতা দিবস তুমি
তোমার লগনে ও কাঁপছে ভূমি
তুমি যে এসেছ ভুলে যায় আমি।

  • একটি পতাকা পেলে– হেলাল হাফিজকথা ছিলো একটি পতাকা পেলেআমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতাকথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

    ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস

    ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,–’পেয়েছি, পেয়েছি’।

    কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

    পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে

    ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।

    কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

    ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বোশেখে,

    বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে।

    কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে

    আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে,

    সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ

    সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।

  • স্বাধীনতা, উলঙ্গ কিশোর– নির্মলেন্দু গুণজননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উল্ঙ্গ শিশুর মতবেরিয়ে এসেছো পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবী হও।তোমার পরমায়ু বৃদ্ধি পাক আমার অস্তিত্বে, স্বপ্নে,

    প্রাত্যহিক বাহুর পেশীতে, জীবনের রাজপথে,

    মিছিলে মিছিলে; তুমি বেঁচে থাকো, তুমি দীর্ঘজীবী হও।

    তোমার হা-করা মুখে প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে

    সূর্যাস্ত অবধি হরতাল ছিল একদিন,

    ছিল ধর্মঘট, ছিলো কারখানার ধুলো।

    তুমি বেঁচেছিলে মানুষের কলকোলাহলে,

    জননীর নাভিমূলে ক্ষতচিহ্ন রেখে

    যে তুমি উল্ঙ্গ শিশু রাজপথে বেরিয়ে এসেছো,

    সে-ই তুমি আর কতদিন ‘স্বাধীনতা, স্বাধীনতা’ বলে

    ঘুরবে উলঙ্গ হয়ে পথে পথে সম্রাটের মতো?

    জননীর নাভিমূল থেকে ক্ষতচিহ্ন মুছে দিয়ে

    উদ্ধত হাতের মুঠোয় নেচে ওঠা, বেঁচে থাকা

    হে আমার দূঃখ, স্বাধীনতা, তুমিও পোশাক পরো;

    ক্ষান্ত করো উলঙ্গ ভ্রমণ, নয়তো আমারো শরীরি থেকে

    ছিঁড়ে ফেলো স্বাধীনতা নামের পতাকা।

    বলো উলঙ্গতা স্বাধীনতা নয়,

    বলো দূঃখ কোনো স্বাধীনতা নয়,

    বলো ক্ষুধা কোন স্বাধীনতা নয়,

    বলো ঘৃণা কোন স্বাধীনতা নয়।

    জননীর নাভিমূল ছিন্ন-করা রক্তজ কিশোর তুমি

    স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবী হও। তুমি বেঁচে থাকো

    আমার অস্তিত্বে, স্বপ্নে, প্রেমে, বল পেন্সিলের

    যথেচ্ছ অক্ষরে,

    শব্দে,

    যৌবনে,

    কবিতায়।

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে ছন্দ

মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আমার এই অনুচ্ছেদে আপনি কিছু ছন্দ সংগ্রহ করতে পারবেন।আপনি যদি স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে চান তাহলে আমার এই অনুচ্ছেটি আপনাকে সহায়তা করবে। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা গুলো আমার এই অনুচ্ছেদে সংযুক্ত আছে আপনি চাইলে আমার এই অনুচ্ছেদ থেকে যেকোনো একটি শুভেচ্ছা বার্তা সংগ্রহ করে নিতে পারো।

স্বাধীনতা দিবসে মন …
খুশিতে উচ্ছ্বসিত !
স্বাধীন দেশের জন্মলগ্নে
চঞ্চল হয় চিত্ত !
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

স্বাধীনতা দিবসে মন …
খুশিতে উচ্ছ্বসিত !
স্বাধীন দেশের জন্মলগ্নে
চঞ্চল হয় চিত্ত !
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

কত শত লোক খুশিতে পাগল !
ওড়ায় জাতীয় পতাকা …
স্বাধীন দেশের নাগরিকবোধে
মনেতে খুশির রেখা …

স্বাধীনতা দিবসের উক্তি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে আসেনি দীর্ঘদিন স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে বহু তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। তাই এই স্বাধীনতা দিবসে আমরা কিছু মূল্যবান উক্তি আপনাদের মধ্যে শেয়ার করব।

আমি আমার নিজের দেশ নিয়ে অসম্ভব রকম আশাবাদী৷ আমাকে যদি একশোবার জন্মাবার সুযোগ দেয়া হয় আমি একশোবার এই দেশেই জন্মাতে চাইব৷ এই দেশের বৃষ্টিতে ভিজতে চাইব৷ এই দেশের বাঁশবাগানে জোছনা দেখতে চাইব- হুমায়ূন আহমেদ

একটা আদর্শের জন্য লড়ে কারোর মৃত্যু হতেই পারে, কিন্তু মৃত্যুর পরেও সেই আদর্শ হাজারটা মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকে।

কেবলমাত্র বোমা বা বন্দুক দিয়ে বিপ্লব আসেনা, বিপ্লবের তলোয়ার ধার পায় বৈপ্লবিক চিন্তাশক্তিতে। – ভগৎ সিং

যুদ্ধ খারাপ জিনিস, কিন্তু হয়তো সবথেকে খারাপ নয়। কিন্তু এক ক্ষয়ে যাওয়া অধঃপতিত দেশাত্ববোধ যা মনেকরে কোনো পরিস্থিতিতেই যুদ্ধ প্রয়োজন নেই – অনেক বেশি ভয়ানক ও চিন্তার। – John Stuart Mill

স্বাধীনতা এক অমূল্য উপহার যা আমাদের দিয়েছে বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।

যদি দেশের জন্য তোমার ভেতরে আবেগ না থাকে তাহলে তোমার শরীরে রক্ত না জল বইছে।

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর – জীবনানন্দ দাশ

স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন। – শামসুর রাহমান

যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেই মাঠে আজ বসে নেশার হাট – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

তোমার বুকের মধ্যে আমাকে লুকিয়ে রাখো আমি এই মাটি ছেড়ে, মাটির সান্নিধ্য ছেড়ে, আকাশের আত্মীয়তা ছেড়ে, চাই না কোথাও যেতে, কোথাও যেতে – মহাদেব সাহা

“ ব্যক্তি জন্ম নেয় এক মুষ্টি ধুলি থেকে সরল দীন, ব্যক্তির অন্তর থেকে জন্ম নেয় এক জাতি। ” – আল্লামা ইকবাল

“ আমি একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক এর চাইতে বড় গৌরব আর কিসে হতে পারে ?” – জে. আর লাওয়েল

“নিজের দেশকে ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি অপরাধী।” – ঋষি অরবিন্দ ঘোষ

“একটি দেশের মহানতা এবং নৈতিক প্রগতি এই বিষয়ে মাপা যেতে পারে যে সেই দেশে জন্তু-জানোয়ার দের সাথে কি রকম ব্যবহার করা হয়।” – মহাত্মা গান্ধী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *